এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) যা হচ্ছে তা অবিশ্বাস্য। রান উৎসবের আসরে, রেকর্ড ২৬১ রান তাড়া করে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারিয়েছে পাঞ্জাব কিংস। আইপিএল তো বটেই, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি।
এর আগে গত বছর (২০২৩ সালে) ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৫৮ রান তাড়া করে জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এতদিন যা ছিল সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডও হয়েছে কলকাতা-পাঞ্জাবের ম্যাচে।
দুই দল মিলিয়ে এ ম্যাচে ছক্কা হাঁকায় ৪২টি। আগের সর্বোচ্চ ছক্কার হাঁকানোর রেকর্ড ছিল ৩৮টি, যা হয়েছিল চলতি আসরের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ-মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচে।
আইপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দুই দলের চার ওপেনার খেলেছেন পঞ্চাশের বেশি রানের ইনিংস। কলকাতার সুনীল নারাইন-ফিল সল্ট জুটি ৬৩ বলে করেন ১৩৮ রান। জবাবে জ্বলে উঠে পাঞ্জাবের দুই ওপেনার প্রবসিমরান ও জনি বেয়ারস্টো। তাদের জুটিতে আসে ৩৬ বলে ৯৩ রান।
পাওয়ার প্লের নিজেদের সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়ে পাঞ্জাব। প্রবসিমরান ২০ বলে ৫৪ রানে ফিরে গেলেও মাত্র ৪৫ বলে আইপিএল ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক করেন বেয়ারস্টো। শেষ পর্যন্ত ৪৮ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকে ইংলিশ ব্যাটার।
চার নম্বরে নেমে শশাঙ্ক সিংহের ২৮ বলে অপরাজিত ৬৮ রানের ইনিংসে জয় নিশ্চিত হয় পাঞ্জাবের। রান উৎসবের ম্যাচে ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দেন নারাইন। বাকি ১৪.৪ ওভারে কলকাতার বোলাররা দিয়েছেন ২৩৬ রান। ওভারপ্রতি ১৬.০৯ করে রান খরচ করেন মিচেল স্ট্রার্ক-আন্দ্রে রাসেলরা।
এর আগে ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৭৬ রান তোলে কলকাতা। মাত্র ৪৮ বলে শতরানের জুটি গড়েন সল্ট-নারাইন। ২৫ বলে অর্ধশতক তুলে নেন সল্ট।
৩২ বলে ৭১ রান করে নারাইন আউট হলে ভাঙে দুজনের জুটির। আর ৩৭ বলে ৭৫ রান তুলে আউট হন সল্ট। ওপেনারদের এমন শুরুর পর ভেঙ্কটেস, আন্দ্রে রাসেল আর অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ারের ক্যামিওতে স্কোর বোর্ডে ২৬১ রান তোলে কলকাতা।
তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হলো না কলকাতার। আইপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কোনো দল ২৫০ বা তার চেয়ে বেশি রান তুলেছে ৯ বার। যার ৫ বার হয়েছে শেষ ১০ দিনে।
মন্তব্য করুন