চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন বাংলাদেশের ফাস্ট বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। অভিষেক ম্যাচে করেন আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং।
৭ ম্যাচে ১২ উইকেট নিয়ে আছেন সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকার শুরুর দিকে। তবে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটেছে কাটার মাস্টারের। সবশেষ তিন ম্যাচে রান দিয়েছেন অকাতরে। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে লখনৌ সুপার জায়ান্টর্সের বিপক্ষে রান খরচ করেন পঞ্চাশের বেশি।
এতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। তবে হঠাৎ এমন ছন্দ হারানোয় দেশের ক্রিকেটের ‘চাচা’ খালেদ মাহমুদকে পাশে পাচ্ছেন টাইগার পেসার। একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দুই দশকের সব ক্রিকেটারের কাছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন ‘চাচা’ হিসেবেই পরিচিত, যা ছড়িয়ে গেছে পরবর্তী প্রজন্মেও।
বুধবার গণমাধ্যমে মোস্তাফিজকে নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সুজন বলেন, ‘খেলোয়াড় বাদ দেন সাধারণ মানুষের জীবনেই উত্থান-পতন থাকে। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। মোস্তাফিজ একজন প্রমাণিত আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়। ভালো করবে খারাপ করবে এ রকম সময় আসবেই। তাকে আমাদের সমর্থন করতে হবে। মোস্তাফিজ একা ম্যাচ জেতাবে তাহলে তো বাংলাদেশের আর কোনো পেসারের দরকার ছিল না, মোস্তাফিজ খেললেই হতো।’
লখনৌর বিপক্ষে চেন্নাইয়ের এমন হারে কাটার মাস্টারের দোষ দেখছেন না সুজন, ‘অবশ্যই দল হিসেবে খেললে একদিন মোস্তাফিজের খারাপ দিন যাবে কিংবা তাসকিন-শরিফুলের যাবে। কিন্তু দল হিসেবে যখন আমরা ম্যাচ জিতব তখন ওই খারাপটাকে খারাপ বলা যাবে না। মোস্তাফিজকে সবাই দোষ দিলেও আমি কোনোভাবেই দেই না। এটা খেলার অংশ। তখন স্টয়নিস যেভাবে মারছিল স্বাভাবিকভাবেই তখন যে কোনো বোলারের ক্ষেত্রেই সেটা ঘটতে পারত।’
এ সময় মোস্তাফিজকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন সুজন। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক, ‘মোস্তাফিজ যে ম্যাচগুলো জিতিয়েছে, সেসব দারুণ ছিল সেটাও মানতে হবে। সে রকম খেলোয়াড়দের ভালো-খারাপ দিন থাকবেই। উইকেটের সঙ্গে হয়তো সে মানিয়ে নিতে পারেনি। বলটা হয়তো গ্রিপ করতে পারেনি। এটা হতেই পারে। তবে মোস্তাফিজকে সতর্ক থাকতে হবে। এটা আমার কথা।’
মন্তব্য করুন