কদিন আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণির মান নিয়ে আক্ষেপ করেন মুমিনুল হক। প্রায় একই সুরে কথা বলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনের কথার সঙ্গে একমত প্রকাশ করে জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, তাগিদ দেন মান বাড়ানোর।
তবে নিজেদের যা আছে তাই নিয়ে খেলতে বলছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঠাঁসা সূচির কারণে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার সুযোগ খুব একটা পান না জাতীয় দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটার।
আর পেলেও শুধু সাদা বলের ক্রিকেটে বেশি আগ্রহী তারা। দু-একজন লাল বলের ক্রিকেটে খেললেও বিশ্রামে থাকেন শীর্ষ ক্রিকেটাররা। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিস্তার ফারাক থাকলেও এর বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করেন বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে রিসোর্স আছে তাদের নিয়েই তো খেলতে হবে। আপনি এর বাইরে কীভাবে যাবেন। আমাদের প্লেয়ার তারাই খেলছে এখানে। হ্যাঁ জাতীয় দলের প্লেয়ারদের সাথে বাকিদের একটা তফাত থাকে। আমরা কিন্তু চেষ্টা করি মানসম্পন্ন প্লেয়ার খেলোয়াড়... আমরা নজর দিচ্ছি সেদিকে।’
শ্রীলঙ্কার কাছে টেস্ট সিরিজে সিলেটের পর চট্টগ্রামেও বিধ্বস্ত হয় নাজুমল হোসেন শান্ত দল। আত্মাহুতির মিছিলে যোগ দেন ব্যাটাররা। দ্রুত ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা জানান তিনি, ‘ঈদের পর নির্বাচক, কিছু প্লেয়ার, ক্রিকেট অপারেশন্স আমরা সবাই বসব। আমরা রিভিউ করব।’
লঙ্কানদের কাছে ন্যুনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে না পারার আক্ষেপ ছিল তার কণ্ঠে, ‘আসলে ম্যাচ তো হারতেই পারে। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নাই। যেটা সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যদি ওরা ৫০০ রান করতে পারে তাহলে আমরা ৪৫০ করতে পারলাম না কেন? ৪০০+ করতে পারলাম না কেন? এখানে বড় একটা আক্ষেপ আছে।’
ব্যাটারদের জন্য উইকেটটা স্বর্গীয় হলেও ব্যর্থ হন টাইগাররা ব্যাটাররা। এটাই বেশি পোড়াচ্ছে জালালকে, ‘হোম গ্রাউন্ড। দুইটা ভালো উইকেটে খেলেছি। আমরা চট্টগ্রাম এবং সিলেট নিয়েছিলাম ব্যাটারদের সুযোগ দেওয়ার জন্য যাতে ব্যাটাররা রান করতে পারে।...২-৩ জন নতুন প্লেয়ার আছে নাম বলছি না, তাদের সময় লাগবে। অভিজ্ঞ যারা ছিল যারা রান করে নাই। কোনো অভিজ্ঞ প্লেয়ার থেকে দুইটা জুটি হলে কিন্তু আমাদের হয়ে যেত। কিন্তু আমরা তাদের কাছ থেকে পাই নাই এটা বড় একটা আক্ষেপ।’
মন্তব্য করুন