সিলেটে বাংলাদেশের ভরাডুবির ম্যাচটি শেষ হয়েছিল ৩২৮ রানের বড় পরাজয়ের মাধ্যমে। চার দিনে শেষ হওয়া সেই ম্যাচের পর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দলের সামনে একটাই লক্ষ্য সিরিজে সমতা আনা। তবে ম্যাচের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দ্বিতীয় সেশন শেষে চার উইকেট হারিয়ে চতুর্থ দিনেই ম্যাচ হারের সন্নিকটে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এখন ম্যাচ কোনোভাবে পাঁচ দিনে নেওয়া নতুন লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ৫১১ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। চা বিরতি থেকে ফিরে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৩ রান। দ্বিতীয় সেশনেই চার উইকেট হারিয়েছে তারা। ৪৩ বলে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে ক্রিজে আছেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গী লিটন দাস ৩৩ বল খেলে ২৩ রান করেছেন।
বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের রান তাড়া হচ্ছে তাদের প্রথম ইনিংসের মতোই। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান দুই জনই উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন। শ্রীলঙ্কান স্পিনার প্রবাথ জয়াসুরিয়ার বলে বোল্ড হন জয় আর আরেক ওপেনার জাকির আউট হয়েছেন স্লিপে।
দুই ওপেনারের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মুমিনুলকে নিয়ে লড়াইয়ের ইঙ্গিত দেন। তবে লাহিরু কুমারার বলে ২০ রান করে বোল্ড হয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।
৯৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ইনিংসে প্রতিরোধের দায়িত্ব নেন মুমিনুল ও সাকিব আল হাসান। বেশ সাচ্ছন্দ্যে ব্যাট করতে থাকা মুমিনুল ফিফটিও তুলে নেন। তবে অর্ধশতক করার পর জয়সুরিয়াকে সুইপ করতে গিয়ে থামে তার ইনিংস।
চা বিরতির পর ব্যর্থতার বৃত্তে থাকা লিটনকে নিয়ে সাকিব প্রতিরোধের চেষ্টা করছেন। তবে এই প্রতিরোধ কতটা কাজে দিবে সেই সম্পর্কে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে।
কারণ জয়ের জন্য বাংলাদেশ দলের প্রয়োজন এখনো অনেক রান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই কোনো দলের। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেলে নতুন বিশ্বরেকর্ড-ই গড়বে বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ চার সেশনে হাতে থাকা ৬ উইকেট নিয়ে টাইগারদের জন্য ড্র করাটাও এখন অকল্পনীয়।
মন্তব্য করুন