বিশ্বের সবচেয়ে আনপ্রেডিক্টেবল ক্রিকেট বোর্ড বলে পরিচিতি আছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। হুটহাট নেওয়া সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ আলোচিত-সমালোচিত নাম হিসেবেই ধরা যায় তাদের। পিসিবির খোদ চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে নির্বাচক কিংবা কোচ সবার পদই যেকোন সময় পরিবর্তন আসতে পারে। একই কথা প্রযোজ্য দেশটির ক্রিকেট দলের অধিনায়কের ক্ষেত্রেও।
গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জের ধরে তিন ফরম্যাটের নেতৃত্ব থেকে বাবর আজমকে এক প্রকার জোড় করেই সরিয়ে দেয় পিসিবি। শাহিন শাহ আফ্রিদির হাতে টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দিয়ে বাকি দুই ফরম্যাটের দায়িত্ব চলে যায় শান মাসুদের হাতে। তবে আবারও নাকি বাবরে ফিরতে চাচ্ছে পিসিবি। পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের এমনটাই দাবি।
ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে বাবরের নেতৃত্বেই খেলে ভরাডুবি হয়েছিল পাকিস্তানের। সমর্থক তথা বোর্ডের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় এই ব্যাটারকে। এরপরই জাতীয় দলে সব ধরনের ফরম্যাট থেকে একপ্রকার জোর করেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য নেন বাবর। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বর্তমান শাহিন শাহ আফ্রিদির গত কয়েকটি ম্যাচের পারফরম্যান্সের পর বোর্ড বুঝতে পেরেছে, নেতা হিসেবে বাকিদের থেকে এগিয়ে বাবরই।
তবে বাবর এখনও পিসিবিকে ‘সবুজ সংকেত’ দেয়নি বলেই খবর। ধারণা করা হচ্ছে, বোর্ডের তরফ থেকে তিনি একাধিক বিষয়ে নিশ্চয়তা চাইছেন। শর্ত পূরণ হলে তবেই আবার অধিনায়কত্ব গ্রহণ করতে পারেন বাবর।
শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের ক্রিকেট সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সব সিদ্ধান্তের জন্য সাবেকদের পরামর্শ নিচ্ছেন পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। সেই সূত্রেই নাকি আবারও অধিনায়ক হিসেবে ওঠে এসেছে বাবর আজমের নাম। অবশ্য পাকিস্তানের নেতৃত্বে বাবর এলে নতুন করে সমস্যা বাড়তেও পারে।
সম্প্রতি অবসর ভাঙার ঘোষণা দিয়েছেন পাক অলরাউন্ডার ইমাদ ওয়াসিম ও পেসার মোহাম্মদ আমির। এরই মধ্যে আসন্ন নিউজিল্যান্ড সিরিজকে সামনে রেখে ২৯ সদস্যের অনুশীলন ক্যাম্পেও রাখা হয়েছে তাদের। এ দুজনের সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক স্বাভাবিক নয় বাবরের। সেক্ষেত্রে কেমন কি হতে পারে তা নিয়েও হয়তো ভাবনাচিন্তা চলতে পারে।
মন্তব্য করুন