সিলেট টেস্টের তৃতীয় দিন শেষেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের পরাজয় বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। তৃতীয় দিনেই ৪৭ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশ যে খেলা চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত নিয়েছে তার পুরো কৃতিত্ব মুমিনুল হকের। প্রথমে মিরাজ এবং পরে শরীফুলকে নিয়ে মুমিনুলের হার না মানা প্রতিরোধের পরেও বড় পরাজয় ঠেকাতে পারেনি বাংলাদেশ।
সোমবার (২৫ মার্চ) নয়নাভিরাম সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে লঙ্কানদের বিপক্ষে রেকর্ড ৩২৮ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। রানের হিসেবে যেটি তাদের ষষ্ঠ বড় পরাজয়। টেস্টটিতে প্রথম ইনিংসে লঙ্কানদের ২৮০ রানের জবাবে ১৮৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে সফরকারী দল করে ৪১৮ রান। বাংলাদেশ জবাবে অলআউট হয়েছে ১৮২ রান করে। মুমিনুল অপরাজিত থাকেন ৮৭ রানে।
আজকের দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যতটা পারা যায় হার বিলম্বিত করা। অবশ্য এই লক্ষ্যে প্রথমেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। দিনের তৃতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাইটওয়াচ ম্যান তাইজুল। কাসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোর হন তিনি। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। এর পর শুরু হয় ক্রিজে আসা মিরাজকে নিয়ে মুমিনুলের হার বিলম্বিত করার লড়াই।
দুজনে মিলে একে একে দুটি লজ্জার রেকর্ডের হাত থেকে বাঁচান বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর ও ঘরের মাঠে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় স্রেফ ৫১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে তারা দুজনে যোগ করেন ৬৬ রান। বাংলাদেশও স্বপ্ন দেখতে থাকে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে লঙ্কানদের দ্বিতীয় সেশনে নেওয়ার।
তবে সেই স্বপ্নে আবারো কাসুন রাজিথার ধাক্কা। লঙ্কান পেসারের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। ৬ চারে ৫০ বলে ৩৩ রান করে ফিরেন মিরাজ।
মিরাজের বিদায়ে হারের আরও কাছে চলে যায় বাংলাদেশ। শঙ্কা থাকে আরও উইকেট যাওয়ার। তবে শরিফুলকে নিয়ে খেলা দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত নিতে সক্ষম হন মুমিনুল।
তবে দ্বিতীয় সেশনে আর বেশিদূর যেতে পারেননি টাইগাররা। শরিফুলকে নিয়ে কিছুটা স্বাচ্ছন্দ্যে ওভার খেলতে থাকেন মুমিনুল। মুমিনুল তুলে নেন অর্ধশতকও। তবে তাদের দুজনের মধ্যকার ৪৭ রানের জুটি ভাঙার পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় পরাজয়। কাসুন রাজিথাই লঙ্কানদের ত্রাতা হিসেবে আবির্ভূত হন। পরের বলে খালেদকে ফিরিয়ে পাঁচ উইকেটও পূর্ণ করেন এই পেসার।
শেষ উইকেট হিসেবে নাহিদ রানা আউট হলে নিশ্চিত হয় লজ্জার পরাজয়। মুমিনুল অপরাজিত থাকেন ৮৭ রানে।
দুই ইনিংসে দুই শতকের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার ওঠে লঙ্কান দলপতি ধনঞ্জয় ডি সিলভার হাতে।
মন্তব্য করুন