সিলেটে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংসের পরেই বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের পরাজয়। শ্রীলঙ্কার দেওয়া রান পাহাড়ের চাপে গতকালেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস। সেই অসহায় অবস্থার সামনে দাড়িয়ে চতুর্থ দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল হার যতটা পারা যায় পরাজয় বিলম্বিত করা। মুমিনুল হক-মেহেদী হাসান মিরাজ সেই কাজটিই করছিলেন।
সোমবার (২৫ মার্চ) নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের দেওয়া ৫১১ রানের রান পাহাড়ে তৃতীয় দিন শেষেই হার এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের। আজকের দিনে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল যতটা পারা যায় হার বিলম্বিত করা।
অবশ্য এই লক্ষ্যে প্রথমেই ধাক্কা স্বাগতিকরা। দিনের তৃতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন নাইটওয়াচ ম্যান তাইজুল। কাসুন রাজিথার বলে লেগ বিফোর হন তিনি। রিভিউ নিয়েও লাভ হয়নি। এর পর শুরু হয় ক্রিজে আসা মিরাজকে নিয়ে মুমিনুলের প্রতিরোধ বা সহজ কথায় হার বিলম্বিত করা।
দুজনে মিলে একে একে দুটি লজ্জার রেকর্ডের হাত থেকে বাঁচান বাংলাদেশকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বনিম্ন স্কোর ও ঘরের মাঠে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর। বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় স্রেফ ৫১ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে তারা দুজনে যোগ করেন ৬৬ রান। বাংলাদেশও স্বপ্ন দেখতে থাকে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে লঙ্কানদের দ্বিতীয় সেশনে নেওয়ার।
তবে সেই স্বপ্নে ধাক্কা দেয় কাসুন রাসিথা। লঙ্কান পেসারের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্লিপে ক্যাচ দেন তিনি। ৬ চারে ৫০ বলে ৩৩ রান করে ফিরলেন মিরাজ।
মিরাজের বিদায়ে হারের আরও কাছে চলে যায় বাংলাদেশ। শঙ্কা থাকে আরও উইকেট যাওয়ার। তবে শরিফুলকে নিয়ে খেলা দ্বিতীয় সেশন পর্যন্ত নিতে সক্ষম হয়েছেন মুমিনুল। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২৯ রানে ৭ উইকেট। ক্রিজে আছেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ৪৬ রান করা মুমিনুল ও তার সঙ্গী হিসেবে আছেন ৩ রান করা শরিফুল।
মন্তব্য করুন