লক্ষ্য মাত্র ৯৮। শুরুতে একটু হোঁচট খায় অস্ট্রেলিয়া। এরপরও ১৫৭ বল আর ৬ উইকেট হাতে রেখে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জয় তুলে নেয় সফরকারীরা। আগামী বুধবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আবারও মুখোমুখি হবে দু’দল।
মিরপুরে ছোট্ট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রান আউট হন ফিবি লিচফিল্ড। জন্মদিনে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি (১৫)। দ্বিতীয় জীবন পেয়ে ২ রানের বেশি করতে পারেননি বেথ মুনি।
দলীয় ৩৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়াকে নিরাপদে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান এলিস পেরি (৩৪*)। প্রথমে তালিয়া ম্যাকগ্রার সঙ্গে গড়েন ২১ রানের জুটি। পরে র অ্যাশলেই গার্ডনারের সঙ্গে ৩৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে সিরিজ নিশ্চিত হয় অস্ট্রেলিয়ার।
এর আগে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর। তবে বাজে ব্যাটিংয়ে ক্রিজেই টিকতে পারলেন না ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৭ রানে গুটিয়ে গেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল।
এ নিয়ে দশমবারের মতো একশর নিচে অলআউট হলো বাংলাদেশ দল। এর আগে প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ৯৫ রানে অলআউট হয় স্বাগতিক। দ্বিতীয় ম্যাচে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর আস ৯ নম্বরে নামা নাহিদা আক্তারের ব্যাট থেকে।
৯ উইকেট শিকার করে অজি স্পিনাররা। তিন বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে ১০ রানে তিন উইকেট নেন সোফি মলিনিউ। আগের রাতের বৃষ্টি এবং মেঘাচ্ছন্ন কন্ডিশন থাকার পরও টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। প্রথম পাওয়ার প্লেতে মাত্র ১৭ রান তোলেন ব্যাটাররা। এর মধ্যে নবম ওভারে আউট হন ওপেনার সোবহানা মোস্তারি (৩)।
৫২ বলে ৭ রান করে মলিনিউর প্রথম শিকার হন অপর ওপেনার ফারজানা হক। পরপর দুই ওভারে ফিরেন মুর্শিদা খাতুন ও নিগার সুলতানা জ্যোতি। ২৭ রানে ৪ উইকেট হারানো স্বাগতিকদের একটু আশার আলো দেখান রিতু মনি ও ফাহিমা খাতুনের জুটি।
৩৬ বলে দুজনের ২৫ রানের জুটির পর ধস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে শঙ্কা জাগে নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন স্কোর ৬০ রানের আগে অল আউট হওয়ার।
তবে নাহিদা আক্তার, সুলতানা খাতুন ও স্বর্ণা আক্তারের কল্যাণে এ যাত্রায় রক্ষা পায় স্বাগতিকরা। শেষ ২ উইকেটে আসে ৩৬ রান। শেষ পর্যন্ত ৪৪.১ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।