ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ-আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান। চলতি আসরে চেন্নাই জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে দেখা গেল সেই পুরোনো কাটার মাস্টারকে। বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ১০ বলে শিকার করেন ৪ উইকেট। বাঁহাতি টাইগার পেসারের দুর্দান্ত বোলিং, আশা জাগাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের।
আইপিএল শুরুর তিন দিন আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে পায়ের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। তবে সব শঙ্কা পেছনে ফেলে যোগ দেন দলের সঙ্গে। নিজের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে প্রথম ম্যাচে দেখান সেই পুরোনো জাদু।
সিলেটে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টিতে ১০ দশমিক নয় দুই ইকোনমি রেটে ১২ ওভারে ১৩১ রান দিয়ে শিকার করেন ২ উইকেট। এই পারফরম্যান্সের পর অনেকের ধারণা ছিলো হয়তো চেন্নাইয়ের একাদশে সুযোগ নাও পেতে পারেন তিনি।
তবে কোনো জাদুর ছোঁয়া বদলে গেছেন সেই মোস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের ২২ গজে তিনি করে গেছেন তার সেই পুরোনো বৈচিত্র্যময় বোলিং। কখনো স্লোয়ার, কখনো সেই দুর্বোধ্য কাটারে কুপোকাত করেছেন বেঙ্গালুরুর ব্যাটারদের।
প্রথম ১০ বলে মাত্র ৬ রানে নেন ৪ উইকেট। নিজের সপ্তম মৌসুমে আইপিএল ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং এটি। ২০১৬ সালে হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে ভিন্ন পাঁচ ফ্র্যাঞ্চাইজি হয়ে খেললেও এই প্রথম ৪ উইকেট শিকার করলেন তিনি।
এর আগে তার সেরা বোলিং ছিল ১৬ রানে ৩ উইকেট। আইপিএলে এটি কোনো বাংলাদেশি বোলারেরও সেরা বোলিং। আরেকটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন তিনি। সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে আইপিএলে ৫০ উইকেট শিকার করেছেন মোস্তাফিজ।
আর ৫০তম উইকেট হিসেবে তার শিকার বিরাট কোহলি। এমন পারফরম্যান্সের পর ম্যাচসেরার পুরস্কার তার হাতে উঠবে এটা ছিল অনুমেয়। বল হাতে অনেক কিছুর জবাব দিয়ে দিয়েছেন তিনি।
মোস্তাফিজের এই পারফরম্যান্স, একটি প্রশ্ন সামনে এনেছে। তাহলে কি বাংলাদেশের অধিনায়ক বা টিম ম্যানেজমেন্ট তাকে সঠিক ব্যবহার করতে পারেননি? তবে চেন্নাই, দ্য ফিজকে যেভাবে কাজে লাগিয়েছে, তা অনেকের কাছে অনুসরণীয় হতে পারে।
মন্তব্য করুন