চট্টগ্রামের সাগরিকায় লঙ্কানদের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শুরু থেকেই দাপট দেখিয়ে সফরকারীদের চেপে ধরে বাংলাদেশের বোলাররা। ১৫৪ রানের মধ্যে ৭টি উইকেট তুলে স্বল্প রানে লঙ্কানদের আটকানোর স্বপ্ন দেখতে থাকা বাংলাদেশ অবশ্য এরপর দেখা পায় প্রতিরোধের। বলতে গেলে লঙ্কানদের একাই লড়াইয়ের রসদ জোগালেন লিয়ানাগে। তার প্রথম শতকে ২৩৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে কুশাল মেন্ডিসের দল।
সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে ২৩৫ রানে অলআউট হয় সফরকারী শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। লঙ্কানদের চ্যালেঞ্জিং এই সংগ্রহে লিয়ানাগে একাই করেছেন ১০১ রান। বাকিদের মধ্যে অবশ্য অর্ধশতক স্পর্শ করতে পারেননি কেউ। বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। মুস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঝুলিতে যায় ২টি করে উইকেট। রিশাদ হোসেন ও সৌম্য সরকার নেন একটি করে উইকেট।
টস হেরে বোলিং নিয়ে দারুণ শুরু পায় লঙ্কানরা। পরপর দুই ওভারে লঙ্কান দুই ওপেনারকে সাজঘরে পাঠান তাসকিন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১১৪ রান করে একাই ব্যবধান গড়ে দেওয়া নিশাঙ্কা এই ম্যাচ করেন মাত্র এক রান। নিজের পরের ওভারে তিনি ফেরত পাঠান ৪ রান করা আভিস্কা ফার্নান্দোকে।
এরপর অধিনায়ক মেন্ডিস ও সাদেরা সামারাভ্রিক্রমা ইনিংস গড়ার দিকে মনযোগী হন। তাদের মধ্যকার গড়তে থাকা জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। ১৫ বলে করেন ১৪ রান করা সাদেরাকে ফেরান তিনি।
এরপর দ্রুত ৩৩ রানের জুটি গড়ে তোলা আসালাঙ্কা-মেন্ডিসকে থামান রিশাদ। তার বলে মুশফিকুর রহিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫১ বলে ২৯ রান করে ফিরেন মেন্ডিস।
ধীরে ধীরে টাইগারদের বিপদের কারণ হয়ে উঠছিলেন আগের ম্যাচে ৯১ রানের ইনিংস খেলা চারিথ আসালাঙ্কা। তাকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দেন ফিজ। ৪৬ বলে ৩৭ রান করেন লঙ্কান মিডলঅর্ডার ব্যাটার। পরের দুটি উইকেটই নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। দুনিত ভেল্লালাগে একের পর এক বল ডট দিতে থাকেন। মিরাজ প্রথমে তাকে ফেরান। ১৮ বলে ১ রান করেন লঙ্কান অলরাউন্ডার। তখন শ্রীলঙ্কার দলীয় রান ছিল ১৩৬। এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা জানিত লিয়ানাগেকে সঙ্গ দিতে থাকেন। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ৮ বলে ১১ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়িয়ে বড় ইনিংস খেলেছিলেন নিসানকা ও আসালাঙ্কা। আজ খেললেন লিয়ানাগে।হাসারাঙ্গা আউট হওয়ার পর মহেশ থিকশানা ১৫ রান করে সঙ্গ দেন তাকে।
এরইমধ্যে ক্র্যাম্প হয় টাইগার পেসার ফিজের। ৪৮তম ওভার করতে এসে হঠাৎ করে অসুস্থতা বোধ করতে থাকেন তিনি। ওভারের প্রথম বলটা করেছিলেন ওয়াইড। কিন্তু দ্বিতীয় বল করতে গিয়ে রান আপের মধ্যেই আটকে গেলেন মোস্তাফিজ। পরে আবার চেষ্টা করেও বল করতে পারেননি তিনি। জাকের আলী ও এনামুল হকের কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এরপর স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন।
শেষ ওভারে প্রমোদ মদুশানকে নিয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন লিয়ানাগে। ১০২ বলে ১১ চার ও ২ ছয়ের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকেন। মদুশান ৩ ও লাহিরু কুমারা করেন ১ রান।
মন্তব্য করুন