আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন আইন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল-আইসিসি। তবে টেস্টে থাকছে না এই আইন। মূলত সাদা বলের ক্রিকেট অর্থাৎ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে চালু হবে স্টপ ক্লক নামের নতুন এই আইন।
আগামী জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে এই আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সব ধরণের সাদা বলের ক্রিকেটে চালু হবে এই আইন।
যদিও এই আইনটি এখনো পরীক্ষাধীন। গত বছর নভেম্বরে আইসিসি জানিয়েছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত স্টপ ক্লক আইনটি পরীক্ষামূলকভাবে চলবে। তবে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রয়োগ করা হবে এই আইন।
মূলত সময়মতো ম্যাচ শেষ করার লক্ষ্যে চালু করা হচ্ছে নতুন আইনটি। ফিল্ডিংয়ে থাকা দল, প্রতি ওভার শেষে নতুন ওভার শুরু করার আগে ৬০ সেকেন্ড সময় পাবে। এই ৬০ সেকেন্ডে মধ্যে নতুন ওভার শুরু করতে হবে। প্রতিবার এই নিয়ম ভাঙার জন্য রয়েছে পেনাল্টির ব্যবস্থা। ফিল্ডে থাকা আম্পায়ার দুবার সতর্ক করবে। তৃতীয়বার এই নিয়ম ভাঙলে পেনাল্টি হবে ৫ রান।
তৃতীয়বার থেকে যতবার এই নিয়ম ভাঙবে, প্রতিবারই প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে যোগ হবে ৫ রান। তৃতীয় আম্পায়ার ইলেকট্রনিক স্ক্রিণে ৬০ সেকেন্ডের টাইমার চালু করবেন। তবে ব্যাটারদের কারণে বা ডিআরএস বা অন্য কোনো কারণে পরবর্তী ওভার শুরু করতে হতে দেরি হলে চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করবেন ফিল্ড আম্পায়াররা।
ক্রিকবাজ আরও জানিয়েছে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পর ভালো ফল পাওয়ায় এই আইনটি এখন স্থায়ী করতে যাচ্ছে আইসিসি। সাদা বলের সব ম্যাচে এই নিয়ম কার্যকর হবে। দুবাইয়ে চলমান আইসিসির সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে নতুন আইন।
এদিকে ক্রিকবাজ আরও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ২০২৫ সালে পাকিস্তানের হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি আইসিসির সভায়। ভারত, পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হবে না ধরে নিয়েই, সম্ভাব্য জটিলতা নিরসনের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল এই সভায়।
গত বছর একই জটিলতা তৈরি হয় এশিয়া কাপে। মূল আয়োজক পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হয়নি ভারত। ফলে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে হয় এই টুর্নামেন্ট। পাকিস্তানের সঙ্গে সহ-আয়োজক করা হয় শ্রীলঙ্কাকে। ফাইনালসহ ভারতের ম্যাচগুলো হয় লঙ্কান দ্বীপদেশটিতে।
মন্তব্য করুন