সাগরিকা স্টেডিয়ামের উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম পাশের নেটে ভাগ হয়ে ব্যাটিং শুরু করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিমরা। তবে এ সময় প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে ডাগআউটের পাশেই আলোচনায় ব্যস্ত ছিলেন সৌম্য সরকার। আধঘণ্টার বেশি সময় কোচের সঙ্গে আলোচনার পর ব্যাট-প্যাড নিয়ে নেটে আসেন সৌম্য। এরপর দুই ভাগে লম্বা সময় ব্যাটে শান দিয়ে নিয়েছেন তিনি। বারবার জাতীয় দলে ফিরেও ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন রেখে গেছেন সৌম্য। এবার তাই দলে থাকা সৌম্যর ছন্দ ধরে রাখার চ্যালেঞ্জও বড় করে দেখা হচ্ছে। অবশ্য ছন্দ ঠিক রাখতে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। অবশ্য ছন্দ ধরে রাখার চ্যালেঞ্জে সৌম্যর পাশে আছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
চট্টগ্রাম পা রাখার পর থেকেই কঠোর অনুশীলন করেছেন সৌম্য সরকার। আজ যেমন তার হাঁকানো বেশ কয়েকটি বড় বড় ছক্কা জায়ান্ট স্ক্রিনের সামনে থাকা সংবাদকর্মীদের আতঙ্কিত করেছে। দেড় বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলেছিলেন ১৬৯ রানের দাপুটে ইনিংস। দ্বিতীয় ম্যাচে ৪ রান করে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও শুরুতেই একাদশে তার থাকার সম্ভাবনা অনুমেয়। তবে সৌম্যর ধারাবাহিকতার প্রশ্নে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, ‘ধারাবাহিকতা সবারই প্রয়োজন আছে। আলাদাভাবে সৌম্যের একার প্রয়োজন সেটা বলব না। প্রত্যেকেটটা ব্যাটারকে এই জায়গায় উন্নতির দরকার আছে। সৌম্য নিজেও এটা নিয়ে কাজ করছে। গত সিরিজে যদি চিন্তা করা যায় ওরকম কন্ডিশনে ওরকম একটা ইনিংস খেলা অবশ্যই আমাদের দলের জন্য অনেক বড় ব্যাপার। আশা করি যদি ও সুযোগ পায় ওর যে জায়গায় ওখানে ব্যাট করলে ভালো করবে।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে সৌম্যর সঙ্গী ছিলেন এনামুল হক বিজয়। লিটন দাসের জায়গা হয়েছিল চারে। এবারও কি একই পজিশনে খেলতে হবে লিটনের! এমন প্রশ্নে রহস্য রেখে দিলেন শান্ত, ‘কাল যখন ব্যাটিং নামবে তখনই জানতে পারবেন। পুরোটাই দলের পরিকল্পনা। দলের জন্য যার যেখানে প্রয়োজন হবে সেটাই করা হবে। কিন্তু এখন এটা বলতে চাইছি না।’ ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরিষ্কার ধারনা না দিলেও আগের মতোই থাকবে বলে জানিয়েছেন শান্ত।
মন্তব্য করুন