সিরিজে টিকে থাকতে হলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের। এরকম বাঁচা-মরার ম্যাচেও টস জিতে আগের ম্যাচের মতোই বোলিং বেছে নেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত। বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরুর পর অবশ্য খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশের বোলাররা তবে আবার দ্রুত তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচে ভালোভাবেই ফিরে এসেছে তাসকিন মুস্তাফিজরা।
বুধবার (৬ মার্চ) টস জিতে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই আগের ম্যাচের মতো দ্রুত আভিষ্কা ফার্নান্ডোকে ফেরান তাসকিন। প্রথম তিন ওভারে রান মাত্র আট থাকলেও পাওয়া-প্লে শেষে শ্রীলঙ্কার সেই রান দাড়ায় ৪৯ রানে। দুই মেন্ডিস রীতিমতো তান্ডব চালিয়েছেন তাসকিন-মেহেদীদের ওপর। এমন অবস্থায় ব্রেকথ্রুর জন্য শান্ত বোলিংয়ে আনেন সৌম্যকে এবং নিজের প্রথম ওভারেই সেই চাওয়া পূরণ করেন সৌম্য সরকার।
অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারিতে আগের ম্যাচে ফিফটি করা কুশল মেন্ডিস ধরা। লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে গড়া ৬৬ রানের জুটি ভাঙেন এই পার্ট টাইম বোলার। ফেরার আগে কুশল মেন্ডিস ২২ বলে ৩৬ রানে করেছেন। ৬৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হলো লঙ্কানদের।
জুটি ভাঙলেও ব্যাটিংয়ে ঝড় থামাননি কামিন্দু। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। পরের বলে পয়েন্টে বল ঠেলে রান নিতে গিয়েই ফাঁদে আটকান কামিন্দু। সেখানে থাকা শেখ মেহেদীর ছুঁড়ে দেওয়া বলে অনায়াসে স্টাম্প ভাঙেন রিশাদ। ১০ রানের ব্যবধানে টাইগার ভক্তরা দ্বিতীয়বার উল্লাসে মাতেন। ২৭ বল মোকাবিলায় কামিন্দু ৩৭ রান করেছেন ৩টি চার ও দুই ছক্কায়।
এরপর আগের ম্যাচের আরেক ফিফটি করা সাদিরা মামারাবিক্রমাও ফেরে সল্প রানে। প্রথম ওভারে ১৫ রান দেওয়া মুস্তাফিজের দ্বিতীয় ওভারে ফিজের হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
তবে তখনও ক্রিজে আগের ম্যাচে ঝড় তোলা আসালাঙ্কা। মেহেদীর করা তৃতীয় ওভারে দুই ছয়ে সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছিলেন তিনি। তবে সেই ওভারেই লঙ্কান দলপতিকে বোল্ড করেন মেহেদী।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ ওভার শেষে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান।
মন্তব্য করুন