গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের ক্রিকেটে বদলে গেছে অনেক কিছু। এই যেমন, বদল হয়েছে অধিনায়ক, কোচ এমনকি প্রধান নির্বাচকও। অবশ্য বদলায়নি দুটি বিষয়। পরিবর্তন আসেনি বিসিবির সভাপতির পদে আর কোনো এক রহস্যময় কারণে নিজেদের মাঠে টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিততে পারেনি।
প্রথম বিষয়টি দ্রুত পরিবর্তনের আশা না থাকলেও সম্ভাবনার অঙ্ক বলছে দ্বিতীয় বদলানো এবারই সেরা সুযোগ। সর্বশেষ ২০১৮ সালে লঙ্কানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি জেতে বাংলাদেশ। তবে এরপর কয়েকদফা ওয়ানডেতে জয় পেলেও, শ্রীলঙ্কাকে টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি টাইগাররা।
তবে ভালো লাগার বিষয় হচ্ছে কমেছে হারের ব্যবধান। সর্বশেষ তিন ম্যাচে হারের ব্যবধান, ৫ উইকেট, ২ উইকেট আর ৩ রান। এখন তো বলাই যায় সামনের ম্যাচটিতে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা জোরালো।
লঙ্কানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্কোয়াড দেয় বিদায়ী নির্বাচক কমিটি। তবে দায়িত্ব নিয়েই চমক দেখান নতুন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। চোটের কারণে ছিটকে যাওয়া আলিস ইসলামের পরিবর্তে আরেকজন স্পিনার না নিয়ে নতুন নির্বাচক প্যানেল দলভুক্ত করেন লোয়ার অর্ডার ব্যাটার জাকের আলী অনিককে।
তার মারকুটে অর্ধশতকে জয়ের খুব কাছে চলে যায় বাংলাদেশ। প্রায় দুবছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরে মাহমুদউল্লাহও করেন অর্ধশতক। তবে জাতীয় দলেও ব্যর্থ বিপিএলজুড়ে ছন্দহীন নাজমুল হোসেন শান্ত। হাসছে না লিটন দাসের ব্যাট।
প্রথম ম্যাচে হারের পর সৌম্য সরকার আর তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং অর্ডার নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ম্যাচটা আরও বড় ব্যবধানে হারতে পারত বাংলাদেশ। তবে ঘুরে ফিরে সামনে আনতে হয় প্রায় দিন ১৫ আগের দল ঘোষণার প্রসঙ্গ। বিপিএলের দশম আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এবং উদ্বোধনী ব্যাটার খেলেন না আন্তর্জাতিক ক্রিকেট।
বিপিএলে প্রায় ৪০০ রান করা নিয়মিত ওপেনারের জায়গা হয় না দলে। আর নিয়মিত ওপেনার না হয়েও তারচেয়ে প্রায় অনেক কম রান করা এক ব্যাটার জাতীয় দলের ওপেনার। ইনজুরি থেকে ফিরে বিপিএলে দারুণ পারফরম্যান্স করেও স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সাইফ উদ্দিনের।
এ ভার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। সিরিজ বাঁচাতে বুধবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে বাংলাদেশকে।
শোধরাতে হবে আগের ভুলগুলো। তা না হলে লম্বা হবে লঙ্কানদের বিপক্ষে হারের তালিকা। সেটা সিলেট থেকে ডালাসে পৌঁছে গেলেই বিপদ।
মন্তব্য করুন