এবারের প্লে-অফের পর থেকেই তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল যেন অন্য এক দল। গ্রুপ পর্বে ধারাবাহিকতার অভাবে থাকা দলটি প্লে-অফে ওঠার পর থেকেই খেলছে দুর্দান্ত। এলিমিনেটরে চট্টগ্রাম ও দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে উড়িয়ে ফাইনালে হেসে খেলেই জায়গা করে নিয়েছে দলটি। এবার ফাইনালেও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে বড় সংগ্রহ করতে দেয়নি বরিশাল। ফাইনালে টস জিতে বোলিং নিয়ে কুমিল্লাকে ১৫৪ রানে আটকে ফেলেছে প্রথম ট্রফির আশায় থাকা দলটি।
শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বোলিং নিয়ে কুমিল্লাকে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৪ রানের বেশি করতে দেয়নি তারা। বরিশালের পক্ষে মাহিদুল হাসান করেন সর্বোচ্চ ৩৮ রান। আর বরিশালের পক্ষে জেমস ফুলার নেন দুই উইকেট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু আনতে পারেনি কুমিল্লা। আবারও ওপেনিংয়ে ব্যর্থ সুনীল নারিন। কাইল মেয়ার্সের বলে ওবেদ ম্যাককয়ের হাতে উইকেট বিলিয়ে আসেন তিনি। পরের ওভারে যদিও সাইফউদ্দিনকে পিটিয়ে ১৪ রান তুলে তাওহীদ হৃদয়-লিটন দাস জুটি। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি এখন পর্যন্ত আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তাওহীদ হৃদয়। চতুর্থ ওভারে জেমস ফুলারের বলে ডিপ থার্ডম্যান অঞ্চলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ১০ বলে ১৫ রান করেন তিনি । মারতে থাকা লিটন দাসও ফুলারের বলে নান্দনিকভাবে কাট করলেও বল সীমানা ছাড়া হয়নি। তা লুফে নেন রিয়াদ। ১২ বলে ১৬ রান করেন কুমিল্লা দলপতি।
লিটনের বিদায়ের পর রানের গতিও কমে যায়। ধীরগতির ব্যাটিংয়ে দর্শকদের বিরক্তির কারন হন মাহিদুল ইসলাম ও জনসন চার্লসের জুটি। চার্লস ক্যারিবীয় পেসার ওবেদ ম্যাককয়ের বলে বিদায় নিলে ক্রিজে আসেন মঈন আলী। তবে তিনি রান আউটের শিকার হয়ে ছয় বলে তিন রান করে ফিরেন।
৭৯ রানে টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে যখন ধুকছে কুমিল্লা তখন দলের হাল ধরেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জাকের আলি অনিক। তবে তারাও রানের গতি বাড়াতে ব্যর্থ হন। অঙ্কনের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৩৮ রান। অঙ্কন ফেরার পর শেষদিকে ঝড় তোলেন আন্দ্রে রাসেল। এই ক্যারবিয়ান হার্ডহিটার ১৪ বলে করেছেন অপরাজিত ২৭ রান। এরমধ্যে ১৯তম ওভারেই তুলেছেন ২১ রান। শেষ ওভারে সাইফুদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কুমিল্লার রান ১৫৪ রানের বেশি যায়নি।
বরিশালের পক্ষে জেমস ফুলার ছাড়াও সাইফুদ্দিন, মায়ার্স ও ম্যাক’কয় নেন একটি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন