শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের আশাপাশে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড হোল্ডার দেখলেই সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন, ‘টিকিট পাব কোথায়।’ মানুষের ভিড় সামলাতে না পেরে টিকিটের জন্য বিসিবির নির্ধারিত দুই কাউন্টারের একটি গতকালই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইনডোর স্টেডিয়ামের যে কাউন্টারটি খোলা আছে; সেখানেও লম্বা লাইন ধরে মিলছে না বিপিএল ফাইনালের টিকিট। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের দারস্থ হচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিনগুণ বেশি দিলে নাকি মিলছে পর্যাপ্ত টিকিট।
বিপিএলের ফাইনালের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে টিকিটের দাম নির্ধারণ করেছিল বিসিবি। গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ২৫০০, ভিআইপি স্ট্যান্ড ১৫০০, ক্লাব হাউজ ৮০০, নর্থ-সাউথ স্ট্যান্ড ৫০০ ও ইস্টার্ন স্যান্ড ৩০০ টাকা। টিকিট প্রাপ্তির জন্য সরাসরি দুটি কাউন্টারের পাশাপাশি রাখা হয়েছিল অনলাইনে ব্যবস্থাও। তবে অনেকের দাবি, অনলাইনে টোকেন নিশ্চিত করেও কাউন্টারে এসে সেটা পায়নি তারা। উল্টো গতকাল স্টেডিয়ামের সঙ্গে থাকা কাউন্টারে দর্শকদের ভিড় সামলাতে না পেরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে; একই সঙ্গে পানি ছিটিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ভিড়ের চাপ দেখে কাউন্টারই বন্ধ করে চলে যায় টিকিটের লোকজন।
অভিযোগ আছে, টিকিটের জন্য অর্থ প্রদান করেও সরাসরি কাউন্টার থেকে টিকিট পায়নি অনেকে। এ ছাড়াও ইনডোরের কাউন্টারে ভিড় জমানো দর্শকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সমস্যা দেখা গেছে। তবে বিষয়টি নিয়ে জানতে বিসিবির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
সাধারণ সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালোবাজারিতে টিকিটের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিনগুন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ টাকার টিকিট কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১২০০ টাকা, ৮০০ টাকার টিকিট তিন হাজার। অনেকে টাকা দিলেও আবার টিকিট পাচ্ছে না। টিকিট কালোবাজারির সঙ্গে জড়িতদের মধ্যেও কয়েক দফায় মারামারি হতে দেখা গেছে। সবমিলিয়ে ফাইনালের আগে টিকিট নিয়ে চরম অব্যবস্থাপনার দেখা গেছে বিসিবির। কালোবাজারির হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ।
মন্তব্য করুন