ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই দর্শকদের মাঝে বিরাজ করে বাড়তি উত্তেজনা। রাজনৈতিক বৈরিতার কারণে প্রায় ১২ বছর ধরে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয় না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা। শুধু আইসিসি ও এসিসির ইভেন্টে একে অপরের বিপক্ষে মাঠে নামে ভারত-পাকিস্তান। সঙ্গত কারণেই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে ২০০ গুণ বেশি টিকিটের আবেদন করেছেন দর্শকরা।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) জানিয়েছে, বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের ম্যাচে নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। স্টেডিয়ামটির ধারন ক্ষমতা ৩৪ হাজারের মতো। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চেয়ে ২০০ গুণ বেশি দর্শক টিকিট পেতে আবেদন করেছেন।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১০০ দিন বাকি থাকতে ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতার অগ্রিম টিকিট বুকিং শুরু হয়েছে আরও আগে। মার্কিন মুল্লুকে হতে যাওয়া ১৬ ম্যাচের ৯টির টিকিট শেষ হয়ে গিয়েছে গতকালই।
এবারের আসরে পাবলিক ব্যালটের মাধ্যমে অগ্রিম টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা করেছিল আইসিসি। সারা বিশ্বের ১৬১টি দেশ থেকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ টিকিটের আবেদন করেছেন। যার মধ্যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। তাদের ম্যাচের জন্য তিন ক্যাটাগরিতে অগ্রিম টিকিট ছাড়ে সংস্থাটি।
স্ট্যান্ডার্ড ক্যাটাগরির টিকিটের দাম ধরা হয়েছিল ১৭৫ মার্কিন ডলার বা ১৯ হাজার ২০০ টাকা। স্ট্যান্ডার্ড প্লাস টিকিটের দাম ৩০০ ডলার বা ৩২ হাজার ৯০০ টাকা। আর সবচেয়ে দামী প্রিমিয়াম ক্যাটাগরির টিকিটের দাম হাঁকানো হয় ৪০০ ডলার বা ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা।
ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের এমন উন্মাদনায় সন্তুষ্ট আইসিসি। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজক কমিটির প্রধান নির্বাহী ব্রেট জোন্স এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্রে খেলতে আসছে, এটা খুবই আনন্দের সংবাদ। টিকিটের জন্য মানুষের আগ্রহ অসাধারণ। পাবলিক ব্যালটের মাধ্যমে দেখা গেছে ম্যাচটি ঘিরে মানুষের আগ্রহ ব্যাপক। আমার মনে হয়, এখানকার মানুষ ব্যাপারটা এরই মধ্যে উদ্যাপন করতে শুরু করেছে।’
মন্তব্য করুন