প্রায়ই ডিপফেক বা ভুয়া ভিডিওর শিকার হন বিনোদন জগতের তারকারা। এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছেন ক্রীড়াবিদরাও। দিন কয়েক আগে এমন ডিপফেক বা ভুয়া ভিডিওর শিকার হয়েছিলেন ভারতের কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। এমনকি তার একমাত্র মেয়ে সারা টেন্ডুলকারও। এবার একই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন বিরাট কোহলি।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কী এই ডিপফেক। গত এক বছর বহুল আলোচিত বিষয় এই প্রযুক্তি। ডিপফেক হলো এমন এক প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে নকল ভিডিও তৈরি হয়। সহজ ভাষায় বলা যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে একজনের মুখের সঙ্গে অন্য কোনো ব্যক্তির শরীর জুড়ে দিয়ে ভিডিও বানানো হয়।
এ প্রযুক্তি দিয়ে হুবহু নকল ভিডিও বানানো সম্ভব। মেশিন লার্নিং প্রয়োগের মাধ্যমে দিন দিন প্রযুক্তিটি আরও উন্নত হচ্ছে এবং নিখুঁতভাবে নকল ভিডিও বানানো সম্ভব হচ্ছে। প্রথম প্রথম বিশ্বের নামকরা তারকা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ডিপফেক প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি নকল ভিডিও দ্বারা হেনস্তার শিকার হন।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও আবারও সামনে এনেছে ডিপফেক প্রযুক্তিকে। বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বিরাট কোহলির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক একটি অনলাইন বেটিং অ্যাপের বিজ্ঞাপন করছেন। যা দেখে অবাক হন তার অনেক ভক্ত, অনুরাগী থেকে শুরু করে বিশ্বের সব ক্রিকেটপ্রেমীরা।
সেই ভিডিওতে দাবি করা হয় অনলাইন বেটিং অ্যাপ ব্যবহার করে খুব কম সময়ে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা যাবে। অবশ্য এই ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরে তীব্র প্রতিবাদে সরব হয়েছেন কোহলি। এর আগে প্রায় একই রকম শচীন টেন্ডুলকারের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপর নিজের শক্ত অবস্থান তুলে ধরেন শচীন।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন ভুয়া ভিডিও বানানো হয়েছে। তাই এই ভিডিও দেখলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করুন। কোনো অভিযোগ জমা পড়লে তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে। তাদের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নিলে এমন ডিপফেক ভিডিও আরও বেশি ছড়িয়ে পড়বে।’
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এআই ব্যবহার করে ডিপফেক বা ভুয়া ভিডিও তৈরি অংশ দিন দিন বাড়ছে। ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করার মতো কোনো প্রযুক্তি এখনো আসেনি। কাজেই সাধারণ মানুষ পক্ষে ডিপফেক ও অরজিনাল ভিডিওর পার্থক্য বুঝা অনেক কঠিন।
মন্তব্য করুন