বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচক হচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার গাজী আশরাফ হোসেন লিপু তার সঙ্গে নির্বাচক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের নির্বাচক হান্নান সরকার। আগের নির্বাচক প্যানেল থেকে বাদ পড়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বহুল প্রতিক্ষীত নবম বোর্ড সভা শেষে এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর ফলে দীর্ঘ ৮ বছর পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর অধ্যায় শেষ হলো। নান্নু প্যানেলের সুমন বাদ গেলেও নতুন প্যানেলে ঠাঁই হয়েছে আব্দুর রাজ্জাকের।
নবম বোর্ড সভা শেষে মিরপুরে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমকে বিসিবি সভাপতি ও ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন গাজী আশরাফ হোসেন লিপুর প্রধান নির্বাচক হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘যে কয়টা নাম এসেছিল আমাদের কাছে, তাদের মধ্যে তাকে সেরা মনে হয়েছে। কাজেই সেটা নিয়ে খুব একটা তর্ক হয়নি। উনি রাজি আছেন জানার পর আমরা একবাক্যে স্বীকার করে নিলাম ওনাকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ দেব।’
গাজী আশরাফের দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে দীর্ঘ ৮ বছর পর নতুন প্রধান নির্বাচক পাচ্ছে দেশের ক্রিকেট। এর আগে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন লিপু। ১৯৯৭ সালে আকরাম খানদের নেতৃত্বে আইসিসি ট্রফি জয়ের সময় বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ দলের প্রথম ৭ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
এদিকে বয়সভিত্তিক দলের নির্বাচক হিসেবে দারুণ পারফর্ম করায় লিপুর প্যানেলে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে সাবেক ক্রিকেটার হান্নান সরকারকে। তাদের সঙ্গে আগের প্যানেল থেকে থাকবেন আব্দুর রাজ্জাক।
তবে নতুন নির্বাচক প্যানেল এখনই দায়িত্ব নিচ্ছেন না। তাদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব উঠবে ১ মার্চ। আর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবে নান্নুর নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেল। শ্রীলঙ্কা সিরিজের দলও ঘোষণা করবে তারা।
এর আগে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হয় নান্নুদের প্যানেলের। এরপরে বিশেষ অনুমোদনে বাড়ানো হয় সেটির মেয়াদ। নির্বাচক প্যানেলে স্থান না হলেও বোর্ডের অন্য দায়িত্বে আসবেন সাবেক দুই নির্বাচক।
মন্তব্য করুন