অনেক আশা নিয়ে যুব বিশ্বকাপে পা রাখলেও বাজে রান রেটের কারণে বাংলাদেশ সেমির আগেই বাদ পড়তে যাচ্ছিল। সেমিফাইনালে উঠতে পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি নেট রান রেটের দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। পাকিস্তান নির্দিষ্ট ওভারের মধ্যে না হারালে বাংলাদেশের বিমান ধরতে হবে রাব্বি-শিবলীদের। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল বেনোনিতে আজ একপ্রকার কোয়ার্টার ফাইনালে এক নম্বর গ্রুপের ম্যাচে সেই হিসাবটা জেনে গেছে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে সুপার সিক্সের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানে গুঁড়িয়ে গেছে পাকিস্তান। রোহানাত বর্ষন ও জীবন ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন। বাংলাদেশ যদি এই লক্ষ্য ৩৮.১ ওভারের মধ্যেই পার করে যায় তাহলেই পাকিস্তানের রান রেট টপকে সেমির টিকিট কাটবে মাহফুজুর রহমান রাব্বির দল।
বেনোনিতে ম্যাচের আহে অনেকের মতে ব্যাটিং নেওয়া লাগত বাংলাদেশের। তবে পিচে ঘাস থাকায় আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। দিনশেষে তার এই সিদ্ধান্তই সঠিক প্রমাণিত হলো। যদিও তাতে বড় কৃতিত্ব বোলার রোহানাত-দৌলা বর্ষন এবং শেখ পারভেজ জীবনের। দুজনের আঁটসাঁট বোলিং বাংলাদেশকে সেমির স্বপ্ন দেখাচ্ছে।
যদিও ম্যাচের শুরুটা খারাপ হয়নি পাকিস্তানের। টাইগারদের দুই পেসার ইকবাল হোসেন ইমন এবং মারুফ মৃধাকে ভালোই সামলেছেন পাকিস্তানের ওপেনাররা। তবে তারা আর বর্ষনকে সামলাতে পারেননি। নিজের স্পেলের দ্বিতীয় ওভারেই দুর্দান্ত এক বলে বিপজ্জনক ওপেনার শামিল হুসেইনকে (১৯) বোল্ড করেন তিনি।
এরপর আযান আওয়াইজও বর্ষনের বাড়তি পেসের বাউন্স বলের শিকার হয়ে ফেরেন। এরপর পাক অধিনায়ক সাদ বেগ ধরে খেলার চেষ্টায় ছিলেন, তবে আরিফুলের দুর্দান্ত রানআউটে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকেও। তবে তখনো একপ্রান্ত আগলে ছিলেন আরেক ওপেনার শাহজাইব খান।
দলীয় ৭৬ রানে তাকেও প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয়। এবার উইকেট শিকারী স্পিনার জীবন। ২৬ রান করা শাহজাইবকে ক্যাচ দেওয়ান উইকেটের পেছনে। ৮৭ রানে আহমাদ হাসান আউট হন বর্ষনের বলে। এরপরেই ৮৯ রানে নিজের ২য় উইকেট শিকার করেন জীবন। হারুন আরশাদ ফেরেন আহরারের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
সপ্তম উইকেটে অবশ্য বাংলাদেশের চিন্তা বাড়িয়েছেন আরাফাত মিনহাস এবং আলী আশফান্দ। দুজনের জুটি পাকিস্তানের ইনিংস টেনে নেন ১৩২ পর্যন্ত। এবার আরও একবার ত্রাতার ভূমিকায় বর্ষন। আশফান্দও ফিরেছেন আহরারকে ক্যাচ দিয়ে। এরপর তাদের ইনিংস আর বড় হয়নি।
বর্ষন আর জীবন আরও একটি করে উইকেট নিলে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হওয়াটা সময়ের ব্যাপার হয়ে যায়। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হয়েছেন মিনহাস। টাইগার অধিনায়ক রাব্বির বলে যখন আউট হয়েছেন তখন পাকিস্তানের স্কোর ১৫৫। এখন বাংলাদেশের ব্যাটাররা যদি নিজেদের কাজ করতে পারে তাহলে সেমিতে যাচ্ছেই জুনিয়র টাইগাররা।
মন্তব্য করুন