বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরে—‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ বা ‘সামনে থেকে নেতৃত্ব’—এই বাক্যটি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। নেতৃত্বের কৌশল এবং ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স— কোনোটিতে ফুল মাকর্স পাচ্ছেন না বিপিএলের সাতদলের অধিনায়করা।
যা সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করার কথা সিলেটের। ইনজুরি এবং হতাশাজনক পারফরম্যান্স—সব মিলিয়ে চিরচেনা অধিনায়ক মাশরাফিকে পাচ্ছে না তারা। পাঁচ ম্যাচের সবকয়টিতে হেরেছে সিলেট। এই পাঁচ ম্যাচের ৩টিতে বোলিং করে উইকেট পেয়েছেন একটি আর ব্যাট হাতে তার মাত্র ৮।
প্রায় একই চিত্র কুমিল্লার লিটন দাসের। ইমরুল কায়েসকে সরিয়ে এবার অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাকে। ব্যাট হাতে চার ম্যাচে তার রান মাত্র ৩৫। গড় ৮.৭৫ আর স্ট্রাইকরেট ৮৭.৫০। দলও দুটি করে হার ও জয় দেখেছে। অন্যদিকে নির্ভার ইমরুল কায়েস এরই মধ্যে পেয়ে গেছেন দুটি অর্ধশতক।
এবারের আসরে ৫ ম্যাচে ৪ জয় চট্টগ্রামের। ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় রয়েছে তারা। বিদেশি ক্রিকেটারদের দারুণ পারফরম্যান্সে ঢাকা পড়েছে অধিনায়ক শুভাগত হোমের ব্যর্থতা। ৫ ম্যাচে ২ ইনিংসে তার ৯ রান, আর বল হাতে নিয়েছেন ১ উইকেট।
একই অবস্থা ঢাকার মোসাদ্দেক হোসেনের। চার ম্যাচে করেছেন ১৬ রান। বোলিংয়ে উইকেট তার জন্য এখনো সোনার হরিণ। এর প্রভাব পড়েছে ম্যাচে ফলেও। চার ম্যাচের তিনটিতেই হেরে তার দল।
দেশি-বিদেশিদের ভিড়িয়ে রীতিমতো তারকাবহুল দল গড়ে বরিশাল। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে তার ছিটেফোঁটাও নেই। তামিম ইকবালের অধিনায়কত্বে পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে হেরেছে তারা। এখনো বড় ইনিংস খেলা হয়নি তামিমের। ৫ ম্যাচে বরিশাল অধিনায়কের রান ১২৯। নামের পাশে নেই কোনো অর্ধশতক।
রংপুরের দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং অর্ডারে উপরে উঠে আসেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। এরপরও তার ব্যাটে চলছে রানখরা। পাঁচ ম্যাচে ৭৫ রান। তিন জয় ও ২ হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়তে বিপিএলের ফেবারিটরা।
অধিনায়কদের ব্যর্থতার ভিড়ে কিছুটা ব্যতিক্রম খুলনার এনামুল হক বিজয়। চার ম্যাচে দুই অর্ধশতকে করেছেন ১৩০ রান। তার দলও আছে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে। পারফরম্যান্স-অধিনায়কত্ব এবং ইমপ্যাক্ট—সব মিলিয়ে অন্য ছয় অধিনায়কের তুলনায় একমাত্র ব্যতিক্রম বিজয়। এখন পর্যন্ত ‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ বা ‘সামনে থেকে নেতৃত্ব’র এবারের বিপিএলে যথার্থ উদাহরণ।
মন্তব্য করুন