দল যখন হোটেলে বিশ্রামে, তখন ছন্দে ফিরতে একক লড়াই সাকিব আল হাসানের। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ম্যাচ। তবে ১২টার দিকেই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট-প্যাড নিয়ে উপস্থিত বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
সিলেট স্টেডিয়ামের ২ নম্বর গ্রাউন্ডের নেটের পেছনে ক্যামেরা রেখে ব্যাটিং অনুশীলন শুরু করেন সাকিব। নেটে বোলার হিসেবে ছিলেন কুমিল্লার লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন থেকে শুরু করে রংপুর রাইডার্সের স্পিন কোচ মোহাম্মদ রফিক।
পৌঁনে দুই ঘণ্টার ব্যাটিংয়ে নিজেকে যতটা সম্ভব তৈরি করার চেষ্টা করেছেন সাকিব। তবে অস্বস্তি থেকেই গেছে তার। চোখের দৃষ্টির ব্যাঘাতজনিত সমস্যা বলে কথা; সহসে যে যাচ্ছে না সেটাও অনুমেয়। শুরুতে পায়ের কাছে পড়া রিশাদের কয়েকটি বল খেলতে অস্বস্তিবোধ হচ্ছিল সাকিবের। তবে ধীরে ধীরে ব্যাটিং শেপে আসায় কিছুটা স্বস্তিও মিলেছে তার।
নেটে সাকিবের সঙ্গে থাকা রংপুরের কোচ রফিকও সন্তুষ্ট নিয়ে বলেছেন, ‘খারাপ না, দেখছেনই তো। আমরা নিজেরাই বোলিং করলাম। মাসাআল্লাহ ভালোই আছে।’ সাকিবের খেলা দলটির জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তুলে ধরে তিনি বলেছেন, ‘সে যদি না খেলে, তাহলে আমাদের দলের সমস্যা হয়।’
দিল্লি, লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর পেরিয়ে ডাক্তাররা একমত, এক্সট্রাফোভিয়্যাল সেন্ট্রাল সেরস কোরিওরেটিনোপ্যাথি রোগে ভুগছেন সাকিব। চোখের সমস্যাটা যে সহসয় যাচ্ছে না সেটাও স্বাভাবিক। তবে খেলার মাধ্যমে ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে নিশ্চিত করেছেন চিকিৎসকরা।
চোখের সমস্যায় ব্যাটিং খারাপ হচ্ছে জানিয়ে রংপুরের স্পিন কোচ বলেছেন, ‘এখন সমস্যাটা চোখের আর ক্রিকেট তো চোখের খেলা। সেখানেই সাকিবের সমস্যা। দেশের মানুষ তো চায়, আশা করে সাকিব খেললে বড় কিছু করবে। কিন্তু যে চোখ দিয়ে খেলবে, সেই চোখে সমস্যা হলে কিভাবে খেলবেন।’
তবে নিজেকে ফিরে পেতে সাকিবের পরিশ্রমের কথা আগেরদিনও বলেছিলেন দলটির প্রধান কোচ সোহেল ইসলাম। আজ যে একটু বেশিই পরিশ্রম করবে, সেটাও বলেছিলেন তিনি।
দুই ঘণ্টা অনুশীলনের পর কেমন দেখলেন প্রশ্নে রফিক বলেছেন, ‘যে কয়দিন দেখেছি, সেই তুলনায় আজ মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী মনে হয়েছে। দেখি আজ কী হয়।’ সাকিব রানে ফিরুক তার ভক্তদের মতো সেটাই চাওয়া কোচদেরও।
মন্তব্য করুন