চলমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) টানা ৩ ম্যাচ জয়হীন রয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকা পর্বে দুই হারের পর নিজ শহরেও পরাজয়ের বৃত্তে বন্দি মাশরাফী বিন মুর্তজার দল। ঘরের মাঠে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৩০ রানে আটকিয়ে রাখলেও কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পায়নি স্বাগতিকরা। ৫২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের স্বাদ পেয়েছে সিলেট বাহিনী।
শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে কুমিল্লা। জবাবে ১৬.২ ওভারে ৭৮ রানে অলআউট হয়েছে সিলেট সিক্সার্স।
১৩১ রানের স্বল্প রান তাড়া করতে নেমে ব্যাকফুটে চলে যায় সিলেট। ৫ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরত যান দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মাদ মিঠুন। দলীয় ১১ রানের সময় বিদায় নেন সামিত প্যাটেল। মাত্র ৪ রানে ম্যাথু ফোর্ডের বলে বোল্ড হন এই ইংলিশ অলরাউন্ডার। পাওয়ার প্লেতে ইয়াসির আলী রাব্বিকে হারিয়ে ২৬ রানে ৪ উইকেট খুঁইয়ে বসে স্ট্রাইকার্স। ২৮ রানের মাথায় পরপর দুই বলে বিদায় নেন মাশরাফী ও বেন কাটিং। তাদের তুলে নেন টাইগার স্পিনার অ্যালিস ইসলাম। ২৮ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় স্বাগতিকরা।
সিলেটকে সপ্তম উইকেটে ৪০ রানের জুটি গড়ে আবারও ম্যাচে ফেরার আভাস দেন রায়ান বার্ল ও জাকির হাসান। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৪ রানে বার্লকে বিদায় দেন উইন্ডিজ অলরাউন্ডার রোস্টন চেজ। আর তাতেই জয়ের ক্ষীণ আশা শেষ হয়ে যায় স্বাগতিকদের। জাকির হাসান ৩৪ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন। জাকির ও বার্ল বাদে সিলেটের বাকি ব্যাটাররা দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেনি। অ্যালিস ইসলাম ১৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং নেমে ভালো শুরু পায়নি কুমিল্লা। দলীয় ৮ রানেই ফিরে যান লিটন। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানও বিদায় নিলে চাপে পড়ে যায় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। ইমরুল কায়েসকে নিয়ে বড় রানের ভীত গড়ার চেষ্টা করে আবারও ব্যর্থ হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় রান আউটে পড়েন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। পরে কায়েসও বিদায় নেন ৩০ রানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রোস্টন চেজ আবারও ব্যর্থ হয়ে ফেরেন মাত্র ২ রান করে। দলীয় ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় কুমিল্লা। শেষ দিকে খুশদিল শাহের ২১ এবং জাকের আলি অনিকের ২৯ রানে ভর করে ১৩০ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা।
সিলেটের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি স্পিনার সামিত প্যাটেল। এছাড়া ২ উইকেট নেন জিম্বাবুইয়ান পেসার রিচার্ড নাগারাভা।
মন্তব্য করুন