ক্রিকেটে গত বছর থেকেই ম্যাচের এক দিন আগে একাদশ প্রকাশ করার রীতি দেখা যাচ্ছে। প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে দলগুলোর এই অভ্যাসের পক্ষে ও বিপক্ষে মতামত পাওয়া যায় অনেক, তবে বেশিরভাগ দলই এখন এই পথেই পা বাড়াচ্ছে। আগামীকাল শুরু হওয়া পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগে একই পথে হাঁটল দুই দলই। এক দিন আগে দুই দলই ম্যাচ একাদশ ঘোষণা করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) শুরু হতে যাওয়া বক্সিং ডে টেস্টে মুখোমুখি হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান। এই টেস্টের জন্য পাকিস্তান ১২ জনের দল ঘোষণা করেছে। প্রথম টেস্ট খেলা দল থেকে বাদ পড়েছে সরফরাজ খান ও পেস বোলিং অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। এছাড়া সফর শুরুর আগে থেকেই ইনজুরির থাবা পড়া দল থেকে ছিটকে গেছেন আরেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার। পেসার খুররম শাহজাদ ইনজুরির কারণে বাদ পড়েছেন। চোটে নাকাল দলটি এছাড়াও এই টেস্টে পাচ্ছে না তাদের প্রধান দুই স্পিনার আবরার আহমেদ ও নোমান আলীকেও।
সরফরাজ না থাকায় এই টেস্টে রিজওয়ানের খেলা নিশ্চিত। সরফরাজের জায়গায় রিজওয়ানকে দলে নেওয়া প্রসঙ্গে পাকিস্তানের অধিনায়ক শান মাসুদ বলেন, ‘আমাদের মনে হয় রিজওয়ান প্রস্তুত আর চাঙা হতে সরফরাজকে আমরা একটা বিরতি দিতে পারি। এটি আসলে কন্ডিশন এবং প্রত্যেক খেলোয়াড়ের কাছ থেকে কী পাব—সেসবের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া কৌশলগত একটি সিদ্ধান্ত।’
মেলবোর্নে পাকিস্তান দলের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্বে শাহিন আফ্রিদির সঙ্গে পার্থে অভিষেক ইনিংসে ৬ উইকেট নেওয়া আমের জামাল আছেন। তাদের সঙ্গী হবেন মির হামজা ও হাসান আলী। একমাত্র স্পিনার হিসেবে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে সাজিদ খানের।
অন্যদিকে পার্থে বড় জয়ের পর একাদশে কোনো পরিবর্তন আনছে না অস্ট্রেলিয়া। স্কট বোল্যান্ডকে এই ম্যাচে ফেরানোর কথা থাকলেও, শেষ পর্যন্ত তা আর হচ্ছে না। ইনজুরি থেকে সেরে উঠলেও ম্যাচফিট নন বোল্যান্ড। নিজ শহরে অনুষ্ঠিত টেস্ট তাই উপভোগ করা ছাড়া বিকল্প নেই তার সামনে। বোল্যান্ড না থাকায় অজিদের পেস ইউনিটের নেতৃত্ব দেবেন মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স এবং জশ হ্যাজেলউড।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ:
ডেভিড ওয়ার্নার, উসমান খাওয়াজা, মার্নাস ল্যাবুশেন, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, মিচ মার্শ, অ্যালেক্স ক্যারি, মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন, জশ হ্যাজেলউড।
পাকিস্তানের ঘোষিত ১২ জন:
ইমাম উল হক, আবদুল্লাহ শফিক, শান মাসুদ, বাবর আজম, সৌদ শাকিল, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সালমান আলী আঘা, শাহিন আফ্রিদি, হাসান আলী, মীর হামজা, আমির জামাল, সাজিদ খান।
মন্তব্য করুন