অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের মধ্যকার টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে সম্প্রতি ফিলস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে বিশেষ বুট পায়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা ছিল অজি ওপেনার উসমান খাজার। তবে আইসিসির বিরোধিতায় সেটি আর করতে পারেননি খাজা। তবে কালো আর্মব্যান্ড পরে ঠিকই খেলেছিলেন খাজা। আর অনুমতি ছাড়া এটি করায় খাজাকে নিয়ম ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত করার সাথে তাকে তিরস্কারও করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার এমন অভিযোগে তাদের নিয়ম নিয়েই ধোঁয়াশায় পড়েছেন খাজা।
সাধারণত আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সময় কোনো আর্মব্যান্ড পরার জন্য ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসি থেকে আগেই অনুমতি নিতে হয়। এদিকে পার্থে কালো আর্মব্যান্ড পরে খেললেও তার আগে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) ও আইসিসি থেকে অনুমতি নেননি খাজা। যাতে আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন ভঙ্গ করেছেন তিনি, এমন অভিযোগ আইসিসির।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) আইসিসির একজন মুখপাত্র জানান, ‘উসমান খাজা আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশনের পোশাক ও সরঞ্জাম নিয়মের “এফ” ধারা ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ও আইসিসির পূর্বানুমতি ছাড়াই উসমান ব্যক্তিগত বার্তা প্রদর্শন করেছেন। এটি “অন্যান্য নিয়ম ভঙ্গের” আওতায় পড়ে, যেহেতু এটি প্রথম অপরাধ তাই এর শাস্তি তিরস্কার।'
এদিকে আইসিসির এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করার কথা জানিয়েছেন খাজা। তিনি বলেন, 'দ্বিতীয় দিনে (পার্থ টেস্টের) তারা আমাকে জিজ্ঞেস করেছিল কেন আমার বাহুতে কালো ফিতা? আমি তাদেরকে জানাই যে, ব্যক্তিগত একটি শোকের ঘটনায় এটি করেছি কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নয়। জুতোর (বার্তা লেখা) অবশ্য ভিন্ন ব্যাপার ছিল। কালো ফিতার ঘটনা কিন্তু এ রকম কিছু না। আমি সব নিয়মই অনুসরণ করেছি। অতীতে এই ধরনের ঘটনার অনেক উদহারণ আছে, অনেকেই ব্যাটে স্টিকার লাগিয়েছে, জুতোয় নাম লিখেছে, এই ধরনের কোনো কিছুর ক্ষেত্রে আইসিসির অনুমতি নেয়নি এবং কখনোই তিরস্কৃত হয়নি।'
'আইসিসির নিয়মকানুন শ্রদ্ধা করি অবশ্যই। তবে তাদেরকে আমি এটা নিয়ে জিজ্ঞেস করব এবং লড়াই করব যেন তারা এটিকে ন্যায্য ও সবার জন্য সমান করে তোলে এবং এসব আইনের ব্যবহারের ক্ষেত্রে ধারাবাহিক হয়। সেই ধারাবাহিকতা এখনও নেই। আমার ব্যাপারটি নিয়ে আমি খুবই উন্মুক্ত ও সৎ ছিলাম। আইসিসির সঙ্গে এটা দেখব আমি।'-আরও যোগ করেন খাজা।
মন্তব্য করুন