চার বছর আগেও দেশের মাটিতে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। সেবার খালি হাতে ফিরেছিল জুনিয়র টাইগাররা। এবার আর সেরকম কোনো পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি মাহফুজুর রহমান রাব্বির দলকে। দুবাইতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে অধরা শিরোপাটি জিতল বাংলাদেশ যুবা টাইগাররা। ফাইনালে স্বাগতিকদের ১৯৫ রানে হারিয়ে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরলো তারা।
রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ২৮৩ রানের চ্যালেঞ্জ তাড়ায় মাত্র ৮৭ রানে থামে আমিরাত। ১৯৫ রানের বিশাল জয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় টাইগার যুবারা।
২৮৩ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের পেসারদের তোপে পড়ে আমিরাতের যুবারা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৩৯ রানে ৪ উইকেট তুলে নেয় মারুফ মৃধা ও রাহানাত দৌলা বর্ষন। এরপর আঘাত হানেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন। তাদের সঙ্গে উইকেট শিকারের দৌড়ে যোগ দেন স্পিনার শেখ পারভেজ জীবন। আরব আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫ রানে অপরাজিত থাকেন অলরাউন্ডার ধ্রুব পারাশার। মাত্র দুজন ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেন। তাছাড়া মিস্টার এক্সট্রা থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ রান।
মারুফ মৃধা ও রাহানাত দৌলা বর্ষন সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন। এ ছাড়া ইকবাল হোসাইন ইমন ও শেখ পারভেজ জীবন ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে ফাইনালে বাংলাদেশকে টস জিতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় আরব আমিরাত। ১৪ রানের মাথায় ওপেনার জিসান আলমকে হারায় জুনিয়র টাইগাররা। দ্বিতীয় উইকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। শিবলী ও মো. রিজওয়ান ১২৫ রানের বিশাল পার্টনারশিপ গড়েন। ৬০ রানে পারাশার বলে সাজঘরে ফেরেন রিজওয়ান। এরপর তৃতীয় জুটিতে ৮৬ রানের আরও একটি পার্টনারশিপ গড়েন শিবলী। ৪০ বলের ঝড়ে টানা দ্বিতীয় ফিফটি তুলে বিদায় নেন ভারতকে হারানোর কারিগর আরিফুল ইসলাম।
এবারের আসরে পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চতুর্থ পঞ্চাশার্ধো ইনিংস খেলেন ডানহাতি তরুণ ওপেনার শিবলী। ১২৯ বলে আসরে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন উইকেটকিপার ব্যাটার। ইনিংসের শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ১৪৯ বলে ১২৯ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন শিবলী। ১২টি চার ও একটি ছক্কা মারেন এই তরুণ। শেষ দিকে অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বির ১১ বলে ২১ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৮২ রান।
মন্তব্য করুন