ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে সমর্থকদের মধ্যে বিরাজ করে বাড়তি উন্মাদনা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বিখ্যাত মারাকানায় সেই উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল গ্যালারিতে দুপক্ষের সমর্থকদের মারামারি ও পুলিশের লাঠিচার্জ। সেদিন লিওনেল মেসিদের কাছে হারায় ম্যাচের পর বর্ণবাদী আচরণের শিকার হন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েস। তবে বর্ণবাদী আক্রমাণের শিকার হওয়া সতীর্থের পাশে দাঁড়িয়েছে নেইমার জুনিয়র।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর ঐতিহ্যবাহী মারাকানা স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারের স্বাদ দেয় আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওতামেন্ডি। ২০২২ বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার কাছে হারের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রদ্রিগোকে উদ্দেশে বিভিন্ন বর্ণবাদী গালি দিয়েছেন আলবিসেলেস্তে সমর্থকরা।
ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার রদ্রিগো তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে জানান, ‘বর্ণবাদীরা সবসময়ই সক্রিয় থাকে। আমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তারা আমাকে অপমান এবং সব ধরনের বাজে কথা দিয়ে আক্রমণ করেছে। সবাইকে দেখানোর জন্য এটি এখানে আছে।’
ব্রাজিল তারকা আরও লিখেছেন, ‘তারা যা চায় যদি আমরা তা না করি, তাদের মতামত অনুসারে আমাদের যা করা উচিত, যদি সে আচরণ না করি, যদি আমরা এমন কিছু পরিধান করি যা তাদের বিরক্ত করে, যদি আমাদের আক্রমণের সময় মাথা নিচু না করি, যদি আমরা তাদের জায়গা দখল করি, তখন বর্ণবাদীরা এই সমস্ত অপরাধমূলক আচরণ করে। তাদের ভাগ্য খারাপ, আমরা এটি কখনো বন্ধ করব না।’
সতীর্থ রদ্রিগোর এমন পোস্ট দেখার পর নিজের ইনস্টাগ্রামে নেইমার লিখেছেন, ‘তোমার জ্বলে ওঠা তাদের বিরক্ত করে। কখনোই থেম না।’ মারাকানায় গ্যালারিতে মারামারির ঘটনায় প্রায় ৩০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা হাইভোল্টেজ ম্যাচ। মাঠ ছেড়ে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার ঘটনায় ম্যাচের ডি পল ও লিওনেল মেসির সঙ্গে তর্কে জড়ান ব্রাজিলের রদ্রিগো গোয়েস। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি জানিয়েছিল, ড্রেসিংরুমে ফিরে যাওয়ায় আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়দের ‘কাপুরুষ’ বলেন রদ্রিগো।
রদ্রিগোর কথার জবাবে মেসি বলেছিলেন, ‘আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল, আমরা কাপুরুষ হবো কেন? নিজের চেহারার দিকে তাকাও।’ মূলত এই ঘটনার জন্যে বর্ণবাদের মতো ঘটনার শিকার হতে হয়েছে ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকারকে।
মন্তব্য করুন