ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপ আসরের শুরু থেকেই ম্যাচগুলোতে দর্শকের উপস্থিতি নিয়ে হতাশা ছিল আয়োজকদের। একমাত্র স্বাগতিক ভারত বাদে অন্য কোনো দলের ম্যাচে দর্শক উপস্থিতি ছিল গুটিকয়েক। আজকের সেমিফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে অবশ্য দর্শকের অভাব ছিল না। স্বাগতিক দলের খেলা বলে কথা। তবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে কিউইদের বিপক্ষে রেকর্ড ৩৯৭ রান করেও ভারতীয় দর্শকদের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছিলেন কেইন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের ১৮১ রানের জুটি। অসম্ভব এক ম্যাচ বের করার স্বপ্ন দেখাতে থাকা দুই ব্যাটারের দাপটে নিশ্চুপ হয়ে গিয়েছিল পুরো ওয়াংখেড়ে। তবে এক ওভারেই নিশ্চুপ ওয়াংখেড়েকে জাগিয়ে তুললেন ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি।
ফাইনালে উঠার মিশনে ভারতের দেওয়া ৩৯৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড। শুরুতে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। তাতে গ্যালারিতে ভারতীয় সমর্থকদের হৈ-হুল্লোড় শুরু হয় পুরোদমে। দৃশ্যপট বদলে গেছে ৩০ ওভারের মধ্যে। ড্যারেল মিচেল ও কেন উইলিয়ামসনের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিউই শিবির। তাতে নিশ্চুপ হয়ে পড়ে ওয়াংখেড়ের গ্যালারি।
নাটকের শুরু ইনিংসের ৩৩তম ওভারে। মিডউইকেটে সিঙ্গেল নিয়ে ৮৫ বলে সেঞ্চুরি করে অসম্ভব এক লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন দেখাতে থাকেন ড্যারিল মিচেল। ৩৯৮ রানের লক্ষ্য, নেমেছিলেন ৩৯ রানে ২ উইকেট পরে যাওয়ার পর। কিন্তু মিচেল খেলছেন পাল্টা আক্রমণের দুর্দান্ত এক ইনিংস। কিন্তু পরের বলেই শামির আঘাতে ভাঙে জুটি! তুলে মেরেছিলেন উইলিয়ামসন, ডিপ স্কয়ার লেগে ভুল করেননি সূর্যকুমার যাদব। উইলিয়ামসনের ক্যাচ ফেলেছিলেন শামি, তারই উইকেট এনে দিয়ে ভারতীয় ক্যাম্পে স্বস্তিও আনলেন শামিই। উইলিয়ামসন থামলেন ৭৩ বলে ৬৯ রানে, মিচেলের সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১৮১ রান। বিশ্বকাপে এটি শামির ৫০তম উইকেট।
এর এক বল পরেই আবারও শামির আঘাত। শামির বল আছড়ে পড়েছে ল্যাথামের প্যাডে। আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ সময় নেননি আউট দিতে, ল্যাথামও রিভিউ করার প্রয়োজন বোধ করেননি। ওয়াংখেড়ে নিশ্চুপ ছিল বেশ কিছুক্ষণ, তাদের জাগিয়ে তুললেন শামি। ৩ বলের ব্যবধানে ফেরালেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক ও সহঅধিনায়ককে।
মন্তব্য করুন