ক্রিকেটে সবচেয়ে দুর্ভাগা দলের কোনো তালিকা করা হলে উপরের দিকেই থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকার নাম। প্রতিভাবান এই দলটির বৈশ্বিক আসরগুলোতে ভাগ্য সহায় হয় না। এই কারণে খাতায় কলমে শক্তিশালী দল নিয়ে গিয়েও বারবার ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে গিবস থেকে ডি-ভিলিয়ার্স সবাইকেই। প্রোটিয়াদের বৈশ্বিক এই আসরে ভালো না করার দায় অনেকেই তাদের চোকার্স মানসিকতার ওপর দিলেও এর সাথে আরেকটি বিষয়কে দায়ী করা যায় যেটির ওপর অবশ্য কারোই হাত নেই। বলা হচ্ছে বৃষ্টির কথা।
এবারের বিশ্বকাপে বেশির ভাগ দলকে উড়িয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থেকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে টেম্বা বাভুমার দল। কলকাতায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ১৬ নভেম্বর পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে প্রোটিয়ারা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, সেদিন কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ম্যাচটির জন্য পর দিন রিজার্ভ ডে রাখা আছে। তবে ১৭ নভেম্বর রিজার্ভ ডেতেও আছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তাহলে কি এবারও ১৯৯২ ও ২০০৩ সালের মতো বৃষ্টির কাছে হার মানতে হবে প্রোটিয়াদের?
সম্ভবত এই প্রথমবার বৃষ্টিকে স্বাগত জানাবে প্রোটিয়া ক্রিকেটার এবং দলটির ভক্তরা? এবারের বিশ্বকাপের নিয়ম অনুসারে বৃষ্টি বা অন্য কোনো কারণে সেমিফাইনাল না হলে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকা দল উঠবে ফাইনালে। প্রথম পর্বে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া—দুই দলেরই ৭টি করে জয়। অর্থাৎ, ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে তারা।
তবে নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম পর্ব শেষ করেছে দ্বিতীয় স্থানে থেকে, অস্ট্রেলিয়া হয়েছে তৃতীয়। তাই বৃষ্টির কারণে সেমিফাইনাল না হলে আদতে দক্ষিণ আফ্রিকারই লাভ। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় ফাইনালে উঠে যাবে তারা।
তবে এর আগে ১৯৯২ ও ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে বৃষ্টির কবলে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯২ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বৃষ্টিবিঘ্নিত সেমিফাইনালে একটা পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩ বলে ২২ রান। এমন সময় বৃষ্টি এলে ২ ওভার খেলা নষ্ট হয়। বৃষ্টি শেষে দেখা গেল, জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ১ বলে ২১ রান! যেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এ ছাড়া ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে হিসাবে ভুল করে সুপার সিক্সেই উঠতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।
মন্তব্য করুন