‘বাজবল’ শব্দের সঙ্গে মানুষের পরিচিত খুব বেশি দিনের নয়। নিউজিল্যান্ডের মারকুটে ক্রিকেটার ব্রান্ডান ম্যাককালাম শব্দটির শ্রষ্টা। ইংল্যান্ডের টেস্ট কোচ হয়েই ক্রিকেটে এই নতুন ধারণার প্রবর্তন করেন। সম্প্রতি ‘বাজবল’ শব্দটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কলিন্স ইংলিশ ডিকশনারিতে। এই অন্তর্ভুক্তির ঘটনাকে উপহাস করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটাররা।
ইংলিশ টেস্ট কোচ ম্যাককালামের দ্বারা বাস্তবায়িত খেলার ধরন বর্ণনা করতে ‘বাজবল’ ব্যবহার করা হয়। যা ঝুঁকি নেওয়া এবং দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। ২০২৩ সাল নিজস্ব প্রকাশনায় বাজবলকে যুক্ত করেছে কলিন্স ডিকশনারি। এ ছাড়া শব্দটি বছরের সেরা শব্দের জন্য মনোনীত করেছে।
অজি ব্যাটার মারনাস লাবুশানে অভিধানে বাজবলের অন্তর্ভুক্তিকে ‘আবর্জনা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘গম্ভীরভাবে, আমি জানি না যে এটি কি, সত্যই।’
ভারতীয় সাংবাদিকরা এ বিষয়ে স্টিভ স্মিথকেও জিজ্ঞাসা করেন। হেসে অজি ব্যাটার বলেন, ‘ছেলেরা শুধু এটা নিয়ে রসিকতা করতে থাকে। আমি মনে করি রনি (অস্ট্রেলিয়ান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড) সত্যিকার অর্থে বাজবল সম্পর্কে যথেষ্ট শুনেছেন।’
চলতি বছরে ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ ২-২ ব্যবধানে শেষ করেছে অস্ট্রেলিয়া। এ বছরে ম্যাককালামের অধীনে ইংল্যান্ড ১২টি টেস্ট ম্যাচের মধ্যে ১০টি ম্যাচ জিতেছে। সেখানে ওভার প্রতি ৪.৭৬ রান নিয়েছে ইংলিশরা। যা অন্য যেকোনো টেস্ট দলের চেয়ে ওভার প্রতি এক রানেরও বেশি।
ম্যাকালামের ইংলিশদের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই বজবল শব্দটির আগমন ঘটেছিল। ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার এবং ভক্তদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস এতটায় প্রবল হয়ে ওঠে যে, তাদের খেলার ধরন অন্যদের চেয়ে উচ্চতর। ইংলিশ টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসের পাশাপাশি ম্যাককালামও কাউন্টি ক্রিকেটে এটি গ্রহণে উৎসাহিত করেন।
মন্তব্য করুন