বিশ্বকাপে বাংলাদেশে ও ভারত ম্যাচের ভেন্যু পুণের উইকেটে বোলারদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে চার, ছক্কা হাঁকিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটাররা। হাফসেঞ্চুরি, সেঞ্চুরির ইনিংস খেলেছেন। অথচ সেই সুযোগগুলোকে হাতে ধরে দূরে ছুড়ে ফেলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। বিশেষ করে দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস লম্বা ইনিংস (সেঞ্চুরি) খেলার সুযোগকে কাজে লাগাননি ভারত ম্যাচে। তবে হাফসেঞ্চুরি করেছেন উভয়ে। ব্যাটারদের এই না পারার ব্যর্থতায় হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীধরন শ্রীরামে এ ছাড়াও টাইগার ব্যাটারদের কীভাবে ইনিংস গড়তে হয় সেটি ম্যাচটিতে দুর্দান্ত শতক হাকানো ভারতীয় তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলির কাছ থেকে শিখতে বললেন।
এ ছাড়া ভারতের কাছে এই ধরনের হার হতাশ করেছে শ্রীরামকে। তিনি এই নিয়ে বলেন, ‘৭ উইকেটের এমন হার অবশ্যই হতাশাজনক। আমি মনে করি বিশ্বকাপ একটি লম্বা টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টে যে কোনো হারই আপনাকে হতাশ করবে। হারের বৃত্ত ভেঙে এখন কীভাবে জয়ে ফেরা যায়, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। সমস্যাগুলো খুঁজে বের করে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের দিকে তাকাতে হবে।’
টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থতায় পুড়েছে ওপেনিং জুটি। পুণের ব্যাটিং উইকেটে ব্যর্থতাকে পেছনে ফেলে তানজিদ ও লিটন ১৪.৪ ওভারে ৯৩ রানের ভিত দেন। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা ওপেনিং জুটি। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিতের পরও অন্য ব্যাটাররা দায়িত্বহীন ছিলেন। ২৫৭ রানের টার্গেট স্বাগতিক ভারত টপকে গেছে সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে। কোহলির ক্যারিয়ারের ৪৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরিটি ছিল পুরোপুরি পরিকল্পনার ফসল।
প্রথম ৭০ রানে কোনো লফটেড শটস ছিল না। এক সময় ভারতের জয় ও কোহলির সেঞ্চুরির জন্য প্রয়োজনীয় রান ছিল সমানে সমান। ২০ রানের প্রয়োজনীর পুরোটাই করেছেন ঠান্ডা মাথায়। শেষ দিকে দলের জয়ের জন্য দরকার ২ রান এবং সেঞ্চুরি পেতে কোহলির চাই ৩ রান। ছক্কা মেরে তিন অঙ্কের জাদুকরী ইনিংসটি খেলেন কোহলি। তার ইনিংস থেকে টাইগার ব্যাটারদের শিখতে বলেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর শ্রীরাম, ‘আপনি যদি ৫০ রান করেন, তাহলে অবশ্যই ফোকাস থাকতে হবে ১০০ রানের দিকে। একটা বিষয় মনে রাখতে হবে ৫০ করতে পারলে সেঞ্চুরি করাও সম্ভব। বিরাট কোহলিকে দেখেন। ৭০-৮০ রানের আগে একটিও লফটেড শট খেলেননি। এটা যে কোনো ব্যাটারের জন্য অনেক বড় শিক্ষা। কোহলির ব্যাটিং দেখে অনেক কিছুই শেখার আছে।’
মন্তব্য করুন