ধর্মশালায় হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আফগানিস্তানকে অল্পতে আটকানো বাংলাদেশী বোলারদের কচুকাটা করে ৪১ ওভারেই দলীয় রান ৩০০ পার করে ইংল্যান্ড। তবে দ্রুত চার উইকেট নিয়ে ইংলিশদের রান নাগালের বাইরে যাওয়ার আগে থামানোর চেষ্টা টাইগারদের। মালানকে আউট করে শুরু করেন মাহেদী পরে রুট, বাটলার ও লিভিংস্টোনকে ফিরিয়ে শরীফুলে ভর করে ইংলিশদের রানের গতি থামানোর চেষ্টা টাইগারদের।
বাংলাদেশী বোলারদের নাকানি-চোবানি খাওয়ানোর মূল কারিগর মালানকে থামিয়ে শুরু করেন মাহেদী। মাহেদীর টসড আপ ডেলিভারিতে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ১০৭ বলে করেছেন ১৪০ রান। ১৬টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছক্কা। সেঞ্চুরির পর ১৬ বলে তিনি করেছেন ৪০ রান। রুটের সঙ্গে তার দ্বিতীয় উইকেট তার জুটি থেমেছে ১৫১ রানে।
উইকেটে এসেই আক্রমণাত্মক শুরু করেছিলেন জস বাটলার। তবে বিধ্বংসী হয়ে ওঠার আগেই এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে ফেরালেন শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্টাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন বাটলার। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ২০ রান।
এরপর এক ওভারেই শরীফুলের জোড়া উইকেট। শিকার জো রুট ও লিয়াম লিভিংস্টোন। স্টাম্প লাইন থেকে আড়াআড়ি তুলে মারতে গিয়ে খাড়া ওপরে তোলেন রুট। সময় পেয়ে কাজে লাগিয়েছেন মুশফিকুর রহিম, ভুল করেননি কোনো। রুট আউট ৮২ রানে। সর্বশেষ ১৫ বলে ছিল না বাউন্ডারি। সে চাপেই এল রুটের উইকেট এবং ঠিক পরের বলেই বোল্ড লিয়াম লিভিংস্টোনও! এবার সিমের ওপর আঙুল ঘুরিয়ে করেছিলেন। ডিফেন্ড করতে গিয়ে পুরো মিস করে গেছেন লিভিংস্টোন। গোল্ডেন ডাক তাঁর। হুট করেই ইংল্যান্ডের লাগাম টেনে ধরার ইঙ্গিত বাংলাদেশের। ২৯৬ রানে ২ উইকেট থেকে ৩০৫ রানে ৫ উইকেট।
এরপর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই হ্যারি ব্রুককে ফেরান মাহেদী। পরে আবার ফেরত এসে ফেরান স্যাম কুরানকে। ৪৬ ওভার ১ বল শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩৩৪ রান।
মন্তব্য করুন