ভারতে তিন দিন পর শুরু হওয়া ক্রিকেট মহারণের আগে শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নিতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। প্রতিপক্ষ ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তবে ইংলিশদের সামনে আগে ব্যাটিং করে লাভ হয়নি লিটন-শান্তদের। অভিজ্ঞ কেউই সুবিধা করতে পারেননি। তবে আগের ম্যাচের মতোই তানজিদ তামিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। তাতে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ইংলিশদের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামনে তা যথেষ্ট হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ হেরেছে ৪ উইকেটের ব্যবধানে।
সোমবার গুয়াহাটিতে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলে বাংলাদেশ। যেখানে সর্বোচ্চ ৭৪ রান এসেছে মিরাজের ব্যাট থেকে। বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের জন্য লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৯৭ রানের। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪ ওভার ১ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা।
ইনিংসের প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলেন ইংলিশ ব্যাটাররা। তবে প্রথম হাসি হাসে অবশ্য বাংলাদেশ। প্রথম ওভারের শেষ বলটি অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে করেন টাইগার পেসার মুস্তাফিজ। সেখানে পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়ে সেকেন্ড স্লিপে তানজিদ তামিমের হাতে ধরা পড়েছেন ডেভিড মালান। ৪ রান করা এই ইংলিশ ওপেনারকে ফিরিয়ে প্রথম ওভারেই উইকেটের স্বাদ পায় বাংলাদেশ।
এরপর জনি বেয়ারস্টো রীতিমতো টাইগার বোলারদের তুলাধোনা করেন। আর সেটার সিংহভাগই গেছে হাসান মাহমুদের ওপর দিয়ে। বেয়ারস্টোর তাণ্ডবে এই ডানহাতি পেসার বল ফেলার জায়গা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এমন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মাত্র ২১ বলেই প্রথম ফিফটির দেখা পায় ইংল্যান্ড।
পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে বেয়ারস্টোকে বোল্ড করে সেই ঝড় থামান মুস্তাফিজ। এই বাঁহাতি পেসারের দুর্দান্ত ইয়র্কারে ব্যাট নামানোর আগেই স্টাম্প ভেঙে যায়। সাজঘরে ফেরার আগে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে এসেছে ২১ বলে ৩৪ রান।
হ্যারি ব্রুককেও বেশিক্ষণ থিতু হতে দেননি হাসান মাহমুদ। গুড লেন্থের ডেলিভারিতে ব্রুকের অফ স্টাম্প গুঁড়িয়ে দেন বেয়ারস্টোর হাতে তুলাধোনা হওয়া হাসান। ফলে ১৫ বলে ১৭ রানে শেষ হয় তরুণ ইংলিশ এই ব্যাটারের ইনিংস।
এরপর নেমেই ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। তার ঝড় থামান শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট ডেলিভারিতে মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন বাটলার। সীমানার কাছে সেই ক্যাচ অনায়াসে নিয়েছেন তাওহীদ হৃদয়। ফলে ৩০ রান করেই ফিরতে হয়েছে বাটলারকে।
লিয়াম লিভিংস্টোনকে থিতু হতে দেননি তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের লেংথ বলে মিড অফে নাজমুল হোসেন শান্তর ডাইভিং ক্যাচে আউট হয়েছেন লিভিংস্টোন। তার ব্যাট থেকে এসেছে ১১ বলে ৭ রান।
মঈন আলী উইকেটে এসে দ্রুতগতিতে রান তুলেছেন। দারুণ সব শটে পাত্তায়ই দেননি বোলারদের। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৫৬ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
এরপর বাকিটা পথ ক্রিস উইকসকে নিয়ে নিরাপদেই পাড়ি দিয়েছেন জো রুট। এক প্রান্ত আগলে রাখা এই ব্যাটার ৪০ বলে ২৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
বাংলাদেশের হয়ে ২৩ রানে ২ উইকেট শিকার করে সেরা বোলার মুস্তাফিজ। তাছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ।
মন্তব্য করুন