এশিয়া কাপে নিজের অভিষেকে ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করে আলোচনায় আসেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী পেসার তানজিম হাসান সাকিব। সুপার ফোরের ম্যাচে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও তিলক ভার্মাকে দারুণ ডেলিভারিতে আউট করেন এই পেসার। তবে মাঠে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখানো সাকিব ফেসবুকে তার দেওয়া কিছু পুরোনো পোস্টের কারণে সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন।
এশিয়া কাপে সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হয় তানজিম সাকিবের। নিজের অভিষেক ম্যাচে শেষ দিকে ব্যাটিং নেমে ৮ বলে এক চার ও ছয়ে ১৪ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলেন এই তরুণ। ব্যাটের পর বল হাতেও দারুণভাবে সফল এই পেসার। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচেই ৩২ রানের বিনিময়ে ভারত অধিনায়ক রোহিত ও ব্যাটার তিলক ভার্মার উইকেট শিকার করেন।
তবে ম্যাচ শেষেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তানজিম সাকিবের কিছু পুরোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে নারীদের পর্দা ও চাকরি করার বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। ফলে সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।
যদিও এ বিষয়ে সম্প্রতি কোনো গণমাধ্যমকে কথা বলেননি সাকিব। তবে মাসখানেক আগে এ বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘মৃত্যুকে সবারই মোকাবিলা করা লাগবে। কখন কে মারা যাবে, কেউ কিছু জানে না। আমি পরকালে সফল হতে না পারলে তো শেষ পর্যন্ত ব্যর্থই থেকে যাব। সুতরাং সেই হিসাব করে আমি ইসলামকে মেনে চলার চেষ্টা করি। চেষ্টা করি সবসময় ইসলামের মধ্যে থাকার জন্য। আর এই জিনিসটি আমাকে খেলার মধ্যেও অনেক সাহায্য করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম আমাকে শৃঙ্খলার মধ্যে থাকতে সাহায্য করে। তাতে মানসিকভাবে আমি শক্ত থাকতে পারি। আমার মানসিকতা অন্যদিকে যায় না। একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিজের মানসিকতা ধরে রাখতে পারি। সুতরাং এটি আমাকে দুনিয়া এবং আখিরাত-দুইদিক থেকেই সাহায্য করছে।’
তানজিম সাকিবের ভেরিফায়েড পেজে থাকা ২০২২ সালের ৯ সেপ্টেম্বরের একটি লেখা সম্প্রতি ভারত ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে পোস্টে লেখা ছিল, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়। স্ত্রীকে যেই স্বামী বলে- আমার স্ত্রীর চাকরি করার দরকার নেই। আমি যা পাই তোমাকে খাওয়াব, সে তাকে রাজরানি হয়ে আছে। এখন সে রাজরানি না হয়ে কর্মচারী হতে চায়।’
নারীদের কর্মজীবন নিয়ে সাকিবের ভেরিফায়েড পেজ থেকে করা সেই আলোচিত পোস্ট। ছবি : ফেসবুক
এ ছাড়া পোস্টের শেষে একটি মাইক্রোফোনের ইমোটিকনসহ ‘শায়খ আবু বকর মুহাম্মাদ জাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)’ নামটি লেখা ছিল। তবে তানজিম সাকিবের সেই পোস্ট এই মুহূর্তে ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
মন্তব্য করুন