সাকিব আল হাসান এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট, বলা চলে সমার্থক দুটি শব্দ। একজনকে ছাড়া আরেকটি কল্পনা করা কঠিন। তবে বাস্তবতা হলো সাকিব আল হাসান একজন রক্ত মাংসের মানুষ, তাকে একসময় না একসময় বাংলাদেশ ক্রিকেটকে বিদায় বলতে হবে। এমন কথা বাংলাদেশের আরেক কিংবদন্তি তামিম ইকবালের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এ কথাটিই আজকে মনে করিয়ে দিলেন লিটন কুমার দাস।
শনিবার মিরপুরে একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ইনজুরির কারণে সাকিব না থাকায় এই টেস্টে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস। টেস্টে নিয়মিত এই অধিনায়ক না থাকায় শুরুতে একাদশ সাজানো নিয়ে জটিলতা থাকলেও পরবর্তীতে সেটা কেটে যায়। তবে সাকিবের মতো খেলোয়াড় না থাকা নিয়ে দলে কেমন প্রভাব পড়ে, তার উত্তর দিয়েছেন ম্যাচটিতে টাইগারদের নেতৃত্বে থাকা লিটন দাস।
ম্যাচের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে যে আমরা জিতেছি তা কিন্তু একই রকম; তামিম ভাই, সাকিব ভাই কেউই খেলেনি। আমরা তরুণ দল ছিলাম এবং দেশের বাইরে জিতেছি। তখন আমাদের ভেতর একটা বিশ্বাস এলো যে কষ্ট করলে সাফল্য পাওয়ার হার বাড়ে। সবাই এখন একটা ব্যাপারে মরিয়া যে কখন টেস্ট আসবে, কখন টেস্ট আসবে। আল্টিমেটলি দুই-তিন বছর পরে গিয়ে তিন-চারজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে পাবেন না। এখন থেকে এটা যদি সামলাতে না পারেন, তাহলে হুট করে বদল হয়ে গেলে কঠিন। তারা খেললে ভালো হতো, কিন্তু এমন না যে ওখান থেকে আমরা কামব্যাক করতে পারব না।
তিনি আরও বলেন, ‘দেখেন ম্যাচের আগে হয়তো এ রকম ছিল সাকিব ভাই খেললে ভালো হতো। ম্যাচের পরে আসছে যে, খেললে ভালো হতো কিনা। জিনিসটা এমন না, আপনার হাতে যা অস্ত্র আছে তাই ব্যবহার করতে হবে। কে থাকবে না থাকবে এটা নিয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই। হয়তো দুই বা চার বছর পর এমন দিন আসবে যখন সাকিব ভাই থাকবে না। বাংলাদেশ দলকে তো এগিয়ে যেতে হবে। আমি যে দলের হয়ে এই টেস্টে খেলেছি এটি বাংলাদেশের সেরা দল। তারা তাদের ভূমিকা পালন করেছে।’
টেস্ট ক্রিকেটে নিজের অধিনায়কত্ব নিয়েও কথা বলেন এই হার্ড হিটার ব্যাটার, ‘চ্যালেঞ্জ না। যখন আপনার হাতে ভালো মানের ব্যাটার-বোলার থাকবে, তখন কাজটা সহজ হয়ে যায়। আমি মনে করি শান্ত আর জয় যেভাবে আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাট করেছে সেটা খেলার ভিত অনেকটাই গড়ে দিয়েছিল।’
মন্তব্য করুন