এশিয়ার ক্রিকেট শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপের সুপার ফোরের চার দলের তিন দল এর মধ্যেই নিশ্চিত। বাকি একটি স্থানের জন্য আজ মুখোমুখি হবে আসরের সহ-আয়োজক শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান।
আসরের অন্যতম দুই ফেবারিট পাকিস্তান এবং ভারত ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে মোটামুটি কোনো ঝামেলা ছাড়াই। পাকিস্তান আগেই সুপার ফোরে গেলেও নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে সেরা চারের টিকিট নিশ্চিত করতে হয়েছে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের। ‘বি’ গ্রুপ থেকে অবশ্য এত সহজেই নিষ্পত্তি হচ্ছে না ঘটনার। গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগেও আছে লম্বা সমীকরণের মারপ্যাঁচ।
‘বি’ গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলংকা। সবার আগে এই গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। তবে সেটা পয়েন্টের হিসেবে না, নেট রানরেটের হিসেবে। আর বাংলাদেশের সঙ্গী হতে হলে শ্রীলংকা ও আফগানিস্তান দুই দলের জন্যই কাজটা কঠিন। এর মাঝে, আফগানিস্তানের জন্য হিসেব আরও বেশিই জটিল।
পয়েন্ট টেবিলে এখন পর্যন্ত সবার উপরে আছে লঙ্কানরা। ১ ম্যাচে ১ জয়। রানরেট ০.৯৫১। এরপরেই আছে বাংলাদেশ। তাদের দুই ম্যাচে ১ জয়। তবে নেট রানরেট ০.৩৭৩। আর টাইগারদের কাছে ৮৯ রানে হারার সুবাদে আফগানদের রানরেট -১.৭৮০। এমন অবস্থায় লঙ্কানদের সামনে সমীকরণ সহজ। জিতলেই তারা চলে যাবে সুপার ফোরে। আর আফগানদের জন্য আছে জটিল গাণিতিক হিসেব।
বাংলাদেশের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে নিজেদের কাজটা কঠিন করে ফেলেছে আফগানরা। আজ তাই তাদের লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে প্রথম ব্যাটিং করলে তাদের কমপক্ষে ৬০-৭০ রানে জিততে হবে। আরও স্পষ্ট করলে, আফগানিস্তান প্রথমে ব্যাটিং করে ৩০০ রান করলে শ্রীলংকাকে ২৩০ রানের মধ্যে থামাতে হবে। আর ২০০ করলে থামাতে হবে ১৩৬ রানের মধ্যে।
আর যদি পরে ব্যাটিং করতে হয়, সেক্ষেত্রেও আছে লক্ষ্যমাত্রা। শ্রীলংকা প্রথম ব্যাটিং করে যত রানই করুক না কেন, লক্ষ্যটা ৩৫ ওভারের মধ্যে শেষ করতে পারলেই সুপার ফোর নিশ্চিত হবে আফগানিস্তানের। অবশ্য টার্গেট শ্রীলঙ্কা ৩০০ বা তার বেশি হলে ৩৮ ওভার পর্যন্ত সুযোগ পাবে আফগানিস্তান।
দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার সাম্প্রতিক ইতিহাস অবশ্য আশা দেখাতে পারে হাশমতউল্লাহ শহিদীর দলকে। গত ১০ মাসে ওয়ানডেতে দুই দল ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে, এর একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে শেষ হতে পারেনি। বাকি ৫ ম্যাচের ২টিতে জিতেছে আফগানিস্তান, ২টিই শ্রীলংকার মাটিতে। লঙ্কানদের নড়বড়ে বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে তাই জয়ের স্বপ্নটাই দেখছে আফগানরা।
মন্তব্য করুন