আগে থেকেই ম্যাচে বৃষ্টির শঙ্কা ছিল। দু’দফায় বৃষ্টি ম্যাচ পণ্ড করার হুমকিও দিল। সবমিলিয়ে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ থাকলো খেলা। তবে শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি থামার পর ওভার কমিয়ে খেলা গড়ালো আর তাতেই স্বস্তি আসলো ভারত শিবিরে।
পাল্লেকেলেতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি আইনে নেপালকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। এই ম্যাচ জিতে তিন পয়েন্ট নিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করলো ভারত। একই গ্রুপ থেকে সুপার ফোর নিশ্চিত করা আরেক দল পাকিস্তান।
বৃষ্টি আইনে জয়ের জন্য ভারতের লক্ষ্য দাড়ায় ২৩ ওভারে ১৪৫ রান। দুই ওপেনারের জোড়া ফিফটিতে অনায়াসে সেই লক্ষ্য তাড়া করে রোহিত শর্মার দল। ১০ উইকেটের বড় জয় দিয়ে এশিয়ার কাপের সুপার ফোরে নিশ্চিত করল ভারত।
পাল্লেকেলেতে টস জিতে নেপালকে ব্যাটে পাঠায় ভারত। নেপালের ইনিংসের মাঝে প্রথম দফায় বৃষ্টিতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় বন্ধ ছিল খেলা। শেষ অবধি ৪৮.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩০ রানের সংগ্রহ পায় নেপাল। জবাবে নেমে ভারতের শুরুটাও হয় দুর্দান্ত। তবে ২.১ ওভার ব্যাটের পর ম্যাচে ফের বৃষ্টি হানা দেয়।
দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টিতে প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় খেলা বন্ধ থাকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ৪৫ মিনিট থেকে ফের মাঠে গড়ায় খেলা। সময় নষ্ট হওয়ায় ওভার কমিয়ে খেলা ২৩ ওভারে ১৪৫ রান লক্ষ্য দেয়া হয় ভারতকে। ভারত লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে রোহিত শর্মার দল।
বৃষ্টির আগে কোনও উইকেট না হারিয়ে ভারত ১৭ রান করে। বৃষ্টির পর ব্যাটে নেমে দ্রুতই রান তুলতে থাকেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও শুভমন গিল। ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি তুলে নেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চার মেরে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি পূর্ণ করেন আরেক ওপেনার শুভমন গিল। দুই ওপেনারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২০.১ ওভারে লক্ষ্য তাড়া করে ভারত।
ছয়টি চার ও পাঁটি ছক্কায় ৫৯ বলে ৭৪ রান করেন রোহিত। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। আটটি চার ও একটি ছয়ের মারে ৬২ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত থেকে রোহিতকে সঙ্গ দেন গিল।
এরআগে ব্যাটে নেমে বেশ উজ্জীবিত ক্রিকেটই খেলছিল নেপাল। মোহাম্মদ সিরাজ-হার্দিক পান্ডিয়াদের মতো বোলারকে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাইয়েছেন নেপালিজ ওপেনাররা। পাওয়ারপ্লেতে নেপালের রান আসে ৬৫। পাওয়ারপ্লের শেষ ওভারে কুশলকে ফেরান শার্দুল ঠাকুর। সেখান থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত। ১০১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরে আরও তিন টপ অর্ডার ব্যাটার। একাই এক প্রান্ত আগলে কিছুক্ষণ লড়াই করার পর ১৩২ রানের মাথায় ফেরেন তিনিও। ৯৭ বলে ৫৮ রান করে সিরাজের বলে ফেরেন তিনি।
১৪৪ রানে ৬ উইকেট হারানো দলটাকে এরপর ২০০ পার করান সোমপাল কামি এবং দিপেন্দ্র সিং এইরে। দুজনের ৫০ রানের জুটি ভাঙে পান্ডিয়ার বলে এইরে আউট হওয়াতে। ৪৮ রান করে ফেরেন সোমপাল। নেপাল থামে ২৩০ রানে।
ভারতীয় বোলারদের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও মোহাম্মদ সিরাজ। এছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া, মোহাম্মদ শামি ও শার্দুল ঠাকুর নেন একটি করে উইকেট।
মন্তব্য করুন