শুরুটা যাচ্ছেতাই। শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হার। এশিয়া কাপে টিকে থাকতে হলে গ্রুপ পর্বে আফগানদের বিরুদ্ধে জয়ের বিকল্প নাই বাংলাদেশের সামনে। শুধু জিতলেই হবে না, জয়ের ব্যবধানটা হতে হবে বেশ বড়। যাতে রান রেটের সমীকরণেও এগিয়ে থাকা যায়। রোববার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ডু অর ডাই ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তার আগে রাজ্যের প্রশ্ন, আফগানদের বিশ্বমানের বোলিং লাইনআপ বাংলাদেশের জন্য কতটুকু চ্যালেঞ্জের।
আফগান দলে রয়েছে রশিদ, নবী, মুজিবদের মতো তারকা সব স্পিনার। আছে পেস দাপটও। শনিবার লাহোরে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের দিকে এই প্রশ্নটা তাই উঠল প্রথমেই। আফগান বোলিং লাইনআপকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিলেন লঙ্কান এই কোচ, ‘আফগানিস্তানের বোলিং অ্যাটাক বিশ্বের অন্যতম সেরা। এটা আসলেই চ্যালেঞ্জের। তবে ঘরের মাঠে সম্প্রতি তাদের সঙ্গে খেলেছি আমরা। তবে এটা গুরুত্বপূর্ণ, নির্দিষ্ট দিনে আপনি কতটা পারফর্ম করছেন। আমরা সতর্ক আফগানদের বোলিং লাইন আপ নিয়ে।’
হারলে বাদ। জিতলে থাকবে সুপার ফোরে যাওয়ার সম্ভাবনা। আফগানদের বিরুদ্ধে ম্যাচটি তাই রূপ নিচ্ছে মাস্ট উইন ম্যাচে। তাই জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না হাথুরুসিংহে, ‘দ্বিতীয় রাউন্ডে যেতে হলে এই ম্যাচটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কী হয়েছে, তা সবারই জানা। আমরা জানি এটা মাস্ট উইন ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে আমরা সেরাটা দিতে পারি নাই। আমরা আত্মবিশ্বাসী আফগানদের বিরুদ্ধে সেরাটা দিতে পারব আমরা।’
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান লড়াই। এখানকার আবহাওয়া তুলনামূলক বেশ গরম। তবে এমন আবহ ম্যাচে খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলেই বিশ্বাস হাথুরুসিংহের। একাদশে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হাথুরু বলেন, ‘আমরা আজই (গতকাল) এসেছি এখানে। এখনো পিচ দেখা হয়নি। অবশ্যই এখানকার কন্ডিশন ভিন্ন। লাইনআপও ভিন্ন হতে পারে। তবে এখনো পিচ দেখা হয়নি। দেখার পর বোঝা যাবে সব।’
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশের জয় ৮টি, আফগানদের জয় ৬টি। তবে এমন সমীকরণ টাইগারদের খুব একটা স্বস্তি দিচ্ছে না। কারণ ঘরের মাঠে কিছুদিন আগেই আফগানিস্তানের সঙ্গে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল বাংলাদেশ। এমন স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার পর হাথুরুসিংহে বলেন, ‘এটা আমি আগেও বলেছি। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাদের রয়েছে বিশ্বমানের বোলিং লাইনআপ। তাদের রয়েছে নামকরা দুই স্পিনার এবং কিছু পেসারও। তবে কালকের (আজ) ম্যাচ নিয়ে আমরা শঙ্কিত নই।’
আফগানদের বিরুদ্ধে জিতলে রক্ষা পাবে বাংলাদেশ। নাকি পড়তে হবে অনেক যদি-কিন্তুর মারপ্যাঁচে। দুই গ্রুপ থেকে সুপার ফোরে যাবে দুটি করে দল। গ্রুপ-বি থেকে সেরা চারে যেতে হলে আফগানদের হারালেই চলবে না, বাংলাদেশের জয়টা পেতে হবে অনেক বড় ব্যবধানে। গ্রুপের তিন দল একটি করে ম্যাচ জিতলে, পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান। সেক্ষেত্রে বিবেচনায় আসবে রানরেট। আর সেখানেই পিছিয়ে আছে টিম টাইগার্স। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে পিছিয়ে থাকা সাকিব বাহিনী কতটা গর্জে উঠতে পারে আফগানদের বিরুদ্ধে, তাই দেখার অপেক্ষায় গোটা বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন