সিলেট টেস্টে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমার স্টেডিয়ামে তাই সিরিজ রক্ষার মিশনে টাইগাররা। তবে ম্যাচ শুরুর আগে আলোচনার কেন্দ্রে চট্টগ্রামের উইকেট। কেমন আচরণ করবে পিচ, সেটি ঘিরে রয়েছে নানা হিসাব-নিকাশ।
বাংলাদেশ স্কোয়াডে এখন ৪ স্পিনার ও ২ পেসার। সিলেটের তুলনায় চট্টগ্রামের কন্ডিশন বেশ ভিন্ন হওয়ায় একাদশে কিছু পরিবর্তন আসার আভাস মিলেছে। বাড়তি স্পিনার খেলানো হবে কি না, এ প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে টাইগার কোচ ফিল সিমন্স আভাস দিয়েছেন পরিকল্পনার।
সিমন্স বলেন, ‘হয়তো ৩ পেসার ২ স্পিনার কিংবা ৩ স্পিনার ২ পেসার নিয়ে মাঠে নামা হতে পারে। এখনও ফাইনাল সিদ্ধান্ত হয়নি, ম্যাচের আগে চূড়ান্ত করব।’
চট্টগ্রামের উইকেট নিয়ে আলাদা করে নিজের পর্যবেক্ষণও জানিয়েছেন সিমন্স। তার ভাষায়, ‘উইকেট দারুণ লাগছে। হার্ড এবং ফ্ল্যাট। আমরা চেষ্টা করব এই কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে। কিছুটা যদি টার্ন পাওয়া যায়, তাহলে তা আমাদের জন্য ভালো হবে।’
নাহিদ রানার পিএসএলে খেলার জন্য চলে যাওয়ায় পেস বিভাগ দুর্বল হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে সিমন্স পরিষ্কার করেছেন, ‘শক্তি হারিয়েছি বলব না, তবে গতি কিছুটা কমেছে রানার চলে যাওয়ায়। তা সত্ত্বেও আমাদের দলে দক্ষ পেসাররা আছে। চট্টগ্রামের উইকেট সাধারণত একটু স্লো থাকে। আমরা চেষ্টা করব বল হাতে টার্ন আদায় করে নিতে।’
চট্টগ্রামে তাই বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ উইকেট বুঝে নিজেদের পরিকল্পনা সাজানো। দ্বিতীয় টেস্টে হারের বৃত্ত ভাঙার জন্য সিমন্সের শিষ্যদের সামনে বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।
মন্তব্য করুন