বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) আর্থিক লেনদেন নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু সংবাদ প্রতিবেদনকে ‘ভুল তথ্যভিত্তিক’ ও ‘সভাপতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে সাজানো’ বলে আখ্যা দিয়েছে। শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড দাবি করেছে, এসব অভিযোগ সত্য নয় এবং বিষয়গুলোকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দায়িত্ব নেওয়ার পর (আগস্ট ২০২৪) থেকে আর্থিক স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। দেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অতীতে বোর্ডের আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তিনি এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
এর অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গ্রিন ও ইয়েলো জোনে থাকা ব্যাংকগুলোর সঙ্গেই কেবল লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে ২৫০ কোটি টাকা তুলে, তার মধ্যে ২৩৮ কোটি টাকা পুনরায় নিরাপদ ব্যাংকে বিনিয়োগ করা হয় এবং বাকি ১২ কোটি টাকা বোর্ডের দৈনন্দিন ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।
বিসিবি জানায়, ব্যাংক পরিবর্তন কিংবা অর্থ স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই সভাপতির একক নয়। এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে দুইজন বোর্ড কর্মকর্তা—বিসিবির ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম—স্বাক্ষর করেন। সভাপতি এখানে স্বাক্ষরকারী নন।
বিসিবি আরও দাবি করেছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর থেকে ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের অর্থ ও স্থায়ী আমানত সংরক্ষিত রয়েছে। এর ফলে বোর্ড ২–৫ শতাংশ হারে অতিরিক্ত সুদ আয় করছে, যা আগের সময়ের চেয়ে উল্লেখযোগ্য বেশি।
তাছাড়া, গত ছয় মাসে এই ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বিসিবি প্রায় ১২ কোটি টাকার স্পনসর পেয়েছে এবং ভবিষ্যতের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য আরও ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি মিলেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, যারা গঠনমূলক ও তথ্যভিত্তিক সাংবাদিকতা করেন, তাদের প্রতি তাদের সম্মান রয়েছে। তবে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন প্রতিবেদন যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ না করে, সেদিকে সতর্ক থাকতে সংবাদমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোর্ডের ভেতর ও বাইরে সক্রিয় কিছু "স্বার্থান্বেষী মহল" অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও পরিচালন ব্যবস্থা ব্যাহত করতে চাইছে বলেও বিসিবির ভাষ্য।
মন্তব্য করুন