শুক্রবার জুমার নামাজের আগে ও পরে মিরপুরে দিনভর জমজমাট ছিল ক্রিকেটারদের উপস্থিতি। প্রথমে তামিম ইকবালের নেতৃত্বে একাডেমি ভবনে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন খেলোয়াড়রা। এরপর নামাজ শেষে তারা সোজা যান বিসিবি কার্যালয়ে। তিন ঘণ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠকে অংশ নেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও ইফতেখার রহমান মিঠুর সঙ্গে। বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে এসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরব হন তামিম ইকবাল।
প্রথম বিষয়টি ছিল তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি নিয়ে বিসিবির দ্বৈত নীতির অভিযোগ, যা আগেই ক্রিকেটারদের প্রতিবাদে এক বছর স্থগিত করেছে বোর্ড।
দ্বিতীয়ত, আলোচনায় উঠে আসে গুলশান ও শাইনপুকুর ম্যাচে ‘অপেশাদার আচরণে’র অভিযোগ। তামিম বলেন, ‘আমরা চাই, যদি কেউ দুর্নীতি করে থাকে- সে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়। কিন্তু তাই বলে দুজন খেলোয়াড়কে ডেকে মিডিয়ার সামনে অভিনয় করানো! এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। কোনো দুর্নীতি দমন সংস্থায় এমন নিয়ম নেই। এটা খেলোয়াড়দের অপমান করা।’
তৃতীয়ত, তামিম ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিপিএলের দুর্নীতি তদন্তে জড়িতদের নাম ফাঁস করাকে ঘিরে। ‘দশজনের নাম মিডিয়াতে দেওয়া হয়েছে, অথচ হয়তো আটজন নির্দোষ। এটা শুধু তাদের না, পুরো খেলোয়াড় সমাজের অপমান। তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কারও নাম প্রকাশ করা উচিত না।’
সবশেষে তামিম জানান, ‘গত কয়েক মাসে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা সবাই মানসিকভাবে হতাশ। এ কারণেই সবাই এক হয়েছি। আমরা বোর্ড সভাপতির কাছে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছি। এখন দ্রুত ও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত চাই।’
বৈঠকের সিদ্ধান্ত দ্রুত জানাবে বিসিবি- এমনই আশা করছেন দেশের সিনিয়র ক্রিকেটাররা।
মন্তব্য করুন