নয়নাভিরাম সিলেট স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য দেখে যে কেউ মুগ্ধ হতে বাধ্য। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই স্টেডিয়ামের সুনাম আছে গোটা বিশ্বজুড়ে। টাইগাররা নিজেদের পছন্দের ফরম্যাট ওয়ানডেতে এখনো হারের স্বাদ পায়নি এই স্টেডিয়ামে। কিন্তু ফরম্যাট বদলাতেই টাইগারদের দৈন্যদশা দেখা যায় চায়ের শহরে।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট গড়ায় ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৫১ রানের বড় হারের লজ্জায় ফেলে সফরকারীরা। পাচ বছর ভেন্যুটির দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হারায় ১৫০ রানে। এরপর গেল বছর শ্রীলংকার বিপক্ষে হারের ব্যাবধান ছিল ৩২৮ রানের। আর সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবারও এক হার। সব মিলিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামে সাদা জার্সিতে টাইগাররা এখনো দেখাতে পারে নি রঙিন পারফর্ম্যন্স।
তবে দলগত ব্যর্থতার দিনেও সিলেটের এই মাঠে টাইগার ক্রিকেটাররা গড়েছে কিছু ব্যাক্তিগত রেকর্ড। জাকের আলীর অনিকের টানা চার টেস্টে ফিফটি, মেহেদী মিরাজের দুই ইনিংসেই ফাইফার, সাথে ২০০ উইকেটের ক্লাবে নিজের নাম লেখানো, এসবই যে সিলেটের এই স্টেডিয়ামে। তবে ব্যাক্তিগত সাফল্য দিয়ে তো আর দলগত ব্যর্থতাকে ঢাকা সম্ভব নয়।
টাইগার ক্রিকেটারদের ব্যর্থতায় দ্বায় অবশ্য কেবল স্টেডিয়ামেরও দিকেও দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, এই স্টেডিয়ামে রঙিন জার্সিতে টাইগাররা বরাবরই ছিল উজ্জ্বল। ২০১৮ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত খেলা সাত ওয়ানডের একটাও হারেনি বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতেও গেল সাত বছরে একাধিক ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের ব্যর্থতা এবারই নতুন নয়। এর আগে নবাগত আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে বরাবরই বিভিন্ন যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করা টাইগার ক্রিকেটাররা এই হারের ব্যর্থতায় কাকে দোষারোপ করবে, তা খুজে বের করা বেশ কঠিন। কারণ এই দলটায় তো হাথুরু কিংবা ডমিঙ্গোর মতো কোচও নেই।
মন্তব্য করুন