ভারতীয় ক্রিকেটের তরুণ তারকা অভিষেক শর্মা ও কিংবদন্তি যুবরাজ সিংয়ের সম্পর্ক কারও অজানা নয়। একদিকে যেমন যুবরাজ তাকে সামনে থেকে গড়ে তুলেছেন, অন্যদিকে অভিষেকও সব সময় গুরু হিসেবে শ্রদ্ধা জানান ইউভিকে। তবে এই গুরুশিষ্যের সম্পর্ক শুধু মাঠেই সীমাবদ্ধ ছিল না, মাঠের বাইরের জীবনে বড় ভূমিকা রেখেছেন যুবরাজ। সম্প্রতি যুবরাজের বাবা ও প্রাক্তন ক্রিকেটার যোগরাজ সিং জানিয়েছেন, যুবরাজই ছিলেন অভিষেকের জীবনের নিয়ন্ত্রণকারী, যখন অভিষেকের বাবা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন।
যোগরাজ বলেন, ‘লেট নাইট পার্টি, গার্লফ্রেন্ড—এইসব শুরু করেছিল। তখন যুবরাজ অভিষেকের বাবাকে বলল, ‘ওকে তালা মেরে রাখেন’। আমি শুনেছি, রাত ৯টা বাজতেই ও চিৎকার করে বলত, ‘তুই কোথায়? এখনই ঘুমোতে যা। আমি আসছি।’ এরপর ফোন কেটে দিয়ে নিজেই ঘুমিয়ে পড়ত। ওর বাবাকে বলে দিত, সকাল ৫টায় তুলে দিও।’
অভিষেক শর্মার মতো একজন প্রতিভাকে যুবরাজ না সামলালে হারিয়ে যেত বলেও মনে করেন যোগরাজ। ‘যখন একটা হীরা আরেকটা হীরের হাতে পড়ে, তখন সেটা কোহিনূর হয়ে যায়। যদি সেটা কোন শাবলের হাতে পড়ত, তবে সেটা ভেঙে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেত।’
শুধু অভিষেক নয়, একই কড়া শাসন যুবরাজ করেছিলেন আরেক তরুণ প্রতিভা শুভমান গিলের ওপরও। দু’জনেই ২০১৮ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।
এই কড়া নিয়মানুবর্তিতাই আজ অভিষেক শর্মাকে গড়ে তুলেছে ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে একজন স্থায়ী ওপেনার হিসেবে। আর পেছনে ছিলেন যুবরাজ, যিনি প্রতিভার চেয়েও বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন চরিত্র গঠনে।
মন্তব্য করুন