আগের দিন ১৯১ রানে অলআউট হওয়া এবং প্রতিপক্ষ ওপেনারদের কাছ থেকে ৬৭ রান হজম করে কিছুটা চাপেই ছিল স্বাগতিকরা। তবে দিনের শুরুতে আগুন ঝরানো পেসে সব পাল্টে দিলেন তরুণ পেসার নাহিদ রানা যার ফলে সকালের সেশনে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে ভয় ধরিয়ে দেন রানা। মাত্র ১২ ওভারে ৪৬ রানে তুলে নিয়েছেন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। তার সঙ্গে সমানতালে লড়েছেন হাসান মাহমুদও, যিনি নিয়েছেন ১ উইকেট। বাকি পেসাররাও বল হাতে রেখেছেন নিয়মিত চাপ।
জিম্বাবুয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে ৩৮ ওভারে ১৩৩/৪ স্কোরে। এখনো তারা পিছিয়ে আছে ৫৮ রানে। যদিও প্রথম ইনিংসের লিড পাওয়ার সুযোগ এখনো জিম্বাবুয়ের হাতে, তবে বাংলাদেশের তীব্র গতি আর ধারালো লাইন-লেন্থে তারা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন মুমিনুল হক। অধিনায়ক শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। এছাড়া জাকের আলি ২৮ ও হাসান মাহমুদ ১৯ রান করে দলের স্কোরটাকে কিছুটা ভদ্রস্থ করেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি, মাসাকাদজা ও মাধেভেরে সমান ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে ওপেনার ব্রায়ান বেনেট খেলেছেন ঝড়ো ইনিংস— ৬৪ বলে ৫৭ রানে করেন ১০টি চারের মারে। তবে এরপর রানার গতিতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাদের টপ অর্ডার।
এখন স্বাগতিকদের আশা সেঞ্চুরির পথে থাকা শন উইলিয়ামস ও নিচের দিকে থাকা ব্যাটারদের দ্রুত ফিরিয়ে দিয়ে লিড নেওয়ার।
দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষে স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯১ (মুমিনুল ৫৬, মুজারাবানি ৩/৫০) জিম্বাবুয়ে: ১৩৩/৪ (বেনেট ৫৭, রানা ৩/৪৬) জিম্বাবুয়ে পিছিয়ে: ৫৮ রানে
মন্তব্য করুন