সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ দল প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষের আগেই চাপে পড়ে গেছে। দ্বিতীয় সেশনের শেষদিকে স্কোরবোর্ডে যখন ১৩৭ রান, তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ইনিংস টালমাটাল অবস্থায়।
ব্যাটিংবান্ধব মনে হওয়া উইকেটে অধিনায়কের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া সঠিক প্রমাণ করতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ব্যাটিং উদ্বোধনে নামা দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান শুরুতে তেমন অবদান না রেখেই আউট হয়ে যান। এর পরের ব্যাটাররাও ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হন, যদিও সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক একপ্রান্ত ধরে রেখে অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন, তবে তিনিও নিজের উইকেট ছুড়ে ফেলে দলকে আরো বিপদে ঠেলে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের টপ অর্ডার আবারও হতাশ করেছে। জয় ১৪ রানে এবং জাকির ১২ রানে আউট হন। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ভালো শুরু পেয়েও ৪০ রানে বাজে শটে উইকেট ছুঁড়ে দেন। বারবার সেট হয়ে ভুল করে আউট হওয়া শান্তর পুরনো অভ্যাস আবারও ভুগিয়েছে দলকে।
এরপর মুশফিক ও মুমিনুল মিলে ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ৪ রান করে পার্ট টাইম স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ফাঁদে পা দেন। মাসাকাদজা তার প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে চাপে ফেলে দেন। এরপর একই বোলারের কাছে উইকেট বিলিয়ে এসেছেন ফিফটি করা মুমিনুল (৫৬)। পরের ওভারে মুজারাবানি ফিরিয়েছেন মেহেদী মিরাজকেও।
জিম্বাবুয়ে পেস আক্রমণের নেতৃত্বে থাকা ভিক্টর নিয়াউচি (১১-২-৫৭-২) এবং ব্লেসিং মুজারাবানি (১৪.৩-৬-৩৩-২) ধারাবাহিক লাইন-লেন্থে বাংলাদেশি ব্যাটারদের বারবার বিপদে ফেলেন।
সেশন শেষের দিকে বাংলাদেশ যখন সামান্য স্বস্তিতে ছিল, তখনই মাসাকাদজা এসে মুশফিক, মুমিনুলকে ফিরিয়ে দেন। তার এই উইকেটটি বাংলাদেশের মনোবলে বড় ধাক্কা দেয়।
এদিকে আউটের আগে মুমিনুল হক দিনের আলোয় যেন ব্যতিক্রমী দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। ৯৮ বল খেলে ৭ চারে পৌঁছেছিলেন নিজের ২২তম টেস্ট অর্ধশতকে। পুল করতে গিয়ে এক প্রকার ভাগ্যবানভাবেই থার্ডম্যান দিয়ে চার মেরে ফিফটির গন্ডি পেরোন তিনি। আশা ছিল তিনি আরো রান করবেন তবে হতাশ করেছেন তিনি।
ক্রিজে নতুন ব্যাটার জাকের আলী (১) ও তাইজুল (০) যিনি এখনও রানে খাতা খুলেননি। দিনের বাকি ওভারে এই জুটির হাত ধরেই যদি দল ২৫০-র কাছাকাছি পৌঁছায়, তবেই কিছুটা স্বস্তি পাবে বাংলাদেশ।
মন্তব্য করুন