বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে নাজমুল হোসেন শান্ত এখন আর নতুন মুখ নন। প্রায় দেড় বছর ধরে জাতীয় দলের নেতৃত্বে থাকা এই ব্যাটার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর অধিনায়কত্ব ছাড়ার গুঞ্জনের মাঝেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে আবারো সেই ভূমিকায়। তবে কতদিন থাকবেন এই দায়িত্বে, তা নিয়ে তার বক্তব্য, ‘এ সিরিজ পর্যন্তই আছি আপাতত।’
সিলেটে শনিবার শুরু হচ্ছে দুই টেস্টের সিরিজ, যা প্রায় চার বছর পর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে শান্ত অকপটে বললেন, ‘এত বছর টেস্ট খেলার পরও যখন সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা করতে হয়, সেটা কষ্টদায়ক।’ তবে গত এক বছরে কিছু ইতিবাচক দিক তুলে ধরেন তিনি—‘আমরা ১২টা টেস্ট খেলে ৪টি জিতেছি, সবগুলোই বড় দলের বিপক্ষে।’
পাকিস্তানে দুটি, ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি এবং গত বছর সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে শান্ত জানান, নতুন কোচের আগমনের পর থেকে টেস্ট দল নিয়ে ভাবনার ধারা বদলেছে। তার ভাষায়, ‘কোচের নিজস্ব কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের সাথেও সেগুলো ভাগ করে নিয়েছেন। আমরা খেলোয়াড়রাও মত দিয়েছি। আশা করি, এ বছর পাঁচ-ছয়টি টেস্টে নতুন কিছু দেখতে পাবেন ইনশাআল্লাহ।’
‘নতুন’ বলতে কী বোঝাতে চাচ্ছেন—এই প্রশ্নে শান্ত বলেন, ‘আমরা এখন থেকে প্রতিটি ম্যাচ জয়ের জন্য খেলতে চাই। কোনো স্বার্থান্বেষী ক্রিকেট খেলার জায়গা নেই এখানে। আমরা চাই খেলোয়াড়েরা জয়ের মানসিকতা নিয়ে প্রস্তুত হোক। ম্যানেজমেন্ট ও বোর্ড থেকেও সহযোগিতা দরকার।’
তিনি আরও যোগ করেন, গত দুই দশকে বাংলাদেশের টেস্ট পারফরম্যান্সের উন্নতি খুব একটা হয়নি। তাই পরিবর্তনের কথা ভাবছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি কিছু জায়গায় পরিবর্তন আনা দরকার। এই বদলই আমাদের সামনে এগিয়ে নিতে পারে।’
শুধু কৌশল নয়, মাঠে শরীরী ভাষার মধ্যেও আক্রমণাত্মক মনোভাব দরকার বলে মনে করেন শান্ত, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়ের সময় দলের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল চাঙা, জয়ের ক্ষুধায় ভরা। এটা ধরে রাখতে হবে প্রতিটি ম্যাচে।’
সার্বিকভাবে শান্তর কথায় ফুটে উঠেছে একটি নতুন পথচলার বার্তা—যেখানে লক্ষ্য শুধু জয় নয়, টেস্ট ক্রিকেটে এক শক্তিশালী পরিচয় গড়ার প্রত্যয়।
মন্তব্য করুন