বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। রাস্তায় নেমে নিজেদের অধিকার আদায়ের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল তরুণ প্রজন্ম। আর সেই সময়েই ভাইরাল হয় ক্রিকেট তারকা ও সেই সময়ের সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের একটি ছবি — যেখানে দেখা যায় তিনি কানাডার এক সাফারি পার্কে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে শুরু হয় তীব্র সমালোচনা। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, যখন দেশের তরুণরা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য রাস্তায় নিজেদের জীবন দিচ্ছেন, তখন সংসদ সদস্য হয়েও সাকিব কীভাবে এমন ভ্রমণে মগ্ন থাকতে পারেন?
এই বিতর্কের বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন সাকিব। দেশের ইংরেজি এক পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।
সাকিব সেই ছবি সম্পর্কে বলেন, ‘আসলে আমি বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে আমেরিকায় মেজর লিগ ক্রিকেট খেলেছি, তারপর কানাডায় গিয়েছি। ওই ছবিটা কানাডায় তোলা হয়েছিল। আমি নিজে সেটা পোস্ট করিনি। তবুও, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে দায়টা আমি নিচ্ছি। এটা ছিল একটা আগে থেকে নির্ধারিত পারিবারিক ভ্রমণ। পরে ভেবে এখন বুঝতে পারছি — সময়টা ভালো ছিল না। একজন সাংসদ, একজন তারকা হিসেবে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। আমি সেটা মেনে নিচ্ছি।’
কিন্তু তিনি দাবি করেন, সংসদ সদস্য হলেও তাকে কখনো সরাসরি রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে বলা হয়নি। সাকিব বলেন, ‘শুরু থেকে আমাকে বলা হয়েছে, তুমি শুধু ক্রিকেট খেলো। আমি সেটাই করেছি। আমার পুরো মনোযোগ সবসময় ক্রিকেটেই ছিল। এমপি হওয়ার পরও।’
ভাইরাল হওয়া ছবিটি নিয়ে এত বড় প্রতিক্রিয়া হবে, সেটা ভাবেননি বলেও জানান সাকিব। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি কল্পনাও করিনি যে ব্যাপারটা এত বড় হবে। যখন দেখলাম সমালোচনা হচ্ছে, তখন বুঝলাম মানুষ এই বিষয়টা নিয়ে কতটা আঘাত পেয়েছে। অনেকে বলেছেন, ছবিটার টাইমিং খুব খারাপ ছিল। হ্যাঁ, এটা আমার ভুল। হয়তো অন্য কারও ছবি এই সময়ে এভাবে নজরে আসতো না। কিন্তু আমি সাকিব বলেই ব্যাপারটা এত আলোচিত হয়েছে। আমি আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।’
মন্তব্য করুন