এক শতাব্দীরও বেশি সময় পর আবারও অলিম্পিকের মঞ্চে ফিরছে ক্রিকেট। ২০২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে (এলএ) অনুষ্ঠিতব্য অলিম্পিক গেমসে ক্রিকেট ইভেন্টে ছয়টি করে পুরুষ ও নারী দল অংশগ্রহণ করবে—এমনটাই নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) নির্বাহী বোর্ড।
বুধবার (৯ এপ্রিল) আইওসির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। প্রতিটি বিভাগের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৯০ জন করে অ্যাথলেট কোটার জায়গা, যার মানে—প্রতিটি দেশ সর্বোচ্চ ১৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে দল গঠন করতে পারবে।
প্রতিযোগিতার ফরম্যাট হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি ইন্টারন্যাশনাল। ভেন্যু এখনো চূড়ান্ত না হলেও, সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে নিউ ইয়র্কের নাম উঠে আসছে আলোচনায়।
তবে কোন ছয়টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তাছাড়া গ্রেট ব্রিটেন ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো যৌথভাবে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব কীভাবে নির্ধারিত হবে, সে বিষয়েও আইওসি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি।
উল্লেখ্য, ১৯০০ সালে অলিম্পিকে প্রথম ও একমাত্রবারের মতো ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেবার মাত্র দুটি দল—গ্রেট ব্রিটেন ও ফ্রান্স—অংশ নেয় এবং দুই দিনের সেই ম্যাচে জয়ী হয়ে সোনা জিতে নেয় ব্রিটিশরা।
সম্প্রতি ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক মাল্টি-স্পোর্ট ইভেন্টে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা বেশ জোরালো হয়েছে। হাংজু ২০২২ এশিয়ান গেমসে পুরুষ ও নারী উভয় বিভাগেই ক্রিকেট ছিল, আর বার্মিংহাম ২০২২ কমনওয়েলথ গেমসে ছিল আট দলের নারী ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।
এলএ অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তি বিশ্বব্যাপী এই খেলাটির প্রসারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
মন্তব্য করুন