বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের বিতর্ক বাংলাদেশের ক্রিকেটে পিছু ছাড়েনি, এবার সেই রেশ পৌঁছে গেছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও। শাইনপুকুর ও গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে এক বিতর্কিত আউট ঘিরে চলছে সমালোচনার ঝড়। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে যখন জয়ের জন্য দরকার ছিল মাত্র ৬ রানের, তখনই ঘটে সেই ঘটনাটি, যা এখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল।
টিভি ফুটেজে দেখা যায়, স্ট্রাইকার ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির স্টাম্পিংয়ের শিকার হন এমন এক পরিস্থিতিতে, যেখানে তার ব্যাট লাইনে ঢুকে গিয়েও আবার বের করে নেওয়ার মতো অস্বাভাবিক আচরণ দেখা যায়। অনেকেই মনে করছেন, আউটটি উদ্দেশ্যমূলক। এই ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার ইমরুল কায়েস।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক বিস্ফোরক স্ট্যাটাসে ইমরুল অভিযোগ তোলেন—ঘরোয়া ক্রিকেটে নির্দিষ্ট দলের অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতেই এমন নাটকীয়তার আশ্রয় নেওয়া হয়েছে।
তিনি লেখেন, ‘আজ হৃদয়ে গভীর আঘাত নিয়ে কিছু কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি। আজকের ম্যাচে যা হয়েছে, তা শুধু লজ্জাজনক নয়, বরং এটি দেশের ক্রিকেটের জন্য এক কালো অধ্যায়। মাঠে যা দেখা গেল, তাতে কোনো সন্দেহ নেই—পরিকল্পিতভাবে ফল নির্ধারণ করা হয়েছিল।’
ইমরুলের মতে, দুই দল নিজেদের মধ্যে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে সুপার সিক্সে একটি দলকে ঠেকাতে চেয়েছে। এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ এই ওপেনার বলেন, ‘আমরা যারা জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখি, তারা রাত-দিন কষ্ট করি। অথচ কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ নিজেদের ফায়দা লুটতে গোটা দেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যাদের দিয়ে এসব কাজ করানো হচ্ছে, তারা নিজেরাই নিজেদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস করে ফেলছে। যারা ম্যাচ শুরুর আগেই ফল নির্ধারণ করে রাখে, তাদের দিয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব হয় না।’
এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে ইমরুল লেখেন, ‘আমি জোরালোভাবে বলছি—এই ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া না হয়, তাহলে অন্তত আজকের ম্যাচটি বাতিল করে পুনরায় আয়োজন করা উচিত।’
শেষে তিনি সতর্ক করেন, ‘আজ চুপ থাকলে কাল হয়তো মুখ খুলে বলার মতো কিছু আর অবশিষ্ট থাকবে না।’
ডিপিএলের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় এমন অভিযোগ বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়—ক্রিকেট বোর্ড বিষয়টিকে কীভাবে দেখছে এবং কী পদক্ষেপ নিচ্ছে।
মন্তব্য করুন