প্রায় সাড়ে চার মাস পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছে বাংলাদেশ দল। আর এই দীর্ঘ বিরতির পরেই জুন মাসে রয়েছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজে কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যেতে চায় না নির্বাচকরা। সোমবার (৮ এপ্রিল) ঘোষিত ১৫ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াডের পর এমনটাই জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু।
তিনি বলেন, ‘প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর আমরা টেস্ট সংস্করণে ফিরে এসেছি। এরপরই আমাদের শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জুনে টেস্ট সিরিজ আছে। সে কারণে আমরা চাচ্ছি না এখানে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে।’
তিনি আরও জানান, পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলার জন্য লিটন দাসকে ছাড় দেওয়ায় একাদশে একটি জায়গা তৈরি হয়েছে। একইভাবে তরুণ স্পিনার নাহিদ রানাকেও এই সিরিজে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ দিয়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এতে তাদের বিকল্পদের জন্যও সুযোগ তৈরি হয়েছে।
সাম্প্রতিক টেস্ট পারফরম্যান্স নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন গাজী আশরাফ। তিনি বলেন, ‘গত বছর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমরা ভালো করতে পারিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গেও ফল মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। যদিও পাকিস্তানে আমাদের স্মরণীয় সাফল্য ছিল এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও আমরা জয় পেয়েছি, তবে সামগ্রিকভাবে গত এক বছরে পারফরম্যান্স নিয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে।’
এই পরিস্থিতিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সম্ভাব্য সেরা দলটাই বেছে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও জানান প্রধান নির্বাচক। ঘরের মাঠে খেলার বিষয়টি মাথায় রেখেই স্কোয়াডের আকার বড় রাখা হয়েছে।
‘ঘরের মাঠে খেলছি বলে দলের সদস্যসংখ্যা কম হতে পারত,’ মন্তব্য করে গাজী আশরাফ আরও বলেন, ‘আগে দেখা যেত যারা স্কোয়াডে থাকতেন না, তারা ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতেন। তবে কনকাশন বিকল্প নিয়ম আসার পর থেকে লাইক-টু-লাইক রিপ্লেসমেন্ট নিশ্চিত করতে ওপেনার, মিডল অর্ডার, স্পিনার ও পেস বিভাগে অতিরিক্ত খেলোয়াড় রাখা হয়। তাই স্কোয়াড ১৫ জনের হয়েছে।’
উল্লেখ্য, লিটন দাসের না থাকা ও নাহিদ রানাকে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তে তরুণদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক দিক বলেই মনে করছেন নির্বাচকরা।
মন্তব্য করুন